সূর্যগ্রহণ হয়ে গেল, অথচ একজনও তা দেখতে পেলেননা
আকাশের বুকে সূর্যের আংশিক গ্রহণ হয়ে গেল। কিন্তু পৃথিবীর একজন মানুষও তা দেখার সুযোগ পেলেননা। অবশ্যই এর পিছনে কারণ রয়েছে।
সূর্যগ্রহণ হোক বা চন্দ্রগ্রহণ, এখন তো আগেই তা প্রচারমাধ্যমে জায়গা করে নেয়। তাই তা পৃথিবীর যে অংশ থেকে দেখা যায় সেখানকার মানুষের মধ্যে একটা প্রবল আকর্ষণ থাকে গ্রহণ দেখার।
গ্রহণ পূর্ণগ্রাস হোক বা না হোক, গ্রহণ হলে আকাশে নজর যাওয়াটাই স্বাভাবিক। মহাজাগতিক বিস্ময় বলে কথা! কিন্তু এবার একটা সূর্যগ্রহণ হয়ে গেল আর বিশ্বের একজনও তা দেখার সুযোগ পেলেননা। কেন এমনটা হল?
নাসার যন্ত্র পারসিভিয়ারেন্স রোভার অবশ্য সেই সূর্যগ্রহণ দেখেছে। তার ছবিও তুলেছে। পৃথিবীর মত মঙ্গলগ্রহ থেকেও সূর্যগ্রহণ দেখা যায়। সেখানে মঙ্গলগ্রহের ২টি উপগ্রহ মঙ্গল ও সূর্যের মাঝখান দিয়ে যাওয়ার সময় এই গ্রহণ হয়।
এবার আলুর মত চেহারার ফোবোস নামে মঙ্গলের একটি চাঁদ সূর্যের সামনে এসে পড়েছিল। ফলে মঙ্গলগ্রহের মাটি থেকে সূর্যগ্রহণ দেখা যায়। সেখানে সূর্যের আংশিক গ্রহণ হয়। একটি চোখের মত দৃশ্য তৈরি হয় গ্রহণের সময়।
কারণ সূর্যের নিচের দিকের একটি অংশে চোখের মণির মত ফোবোস এসে ঢাকা দেয়। যার জেরে সূর্যের ওই অংশটি কালো দেখতে লাগে। মঙ্গলের জেজেরো ক্রেটারের পশ্চিম প্রান্তের দেওয়াল ধরে উঠেছে পারসিভিয়ারেন্স রোভার।
সেখান থেকেই সে দেখতে পায় এই সূর্যগ্রহণ। যার ছবি সে পাঠিয়ে দেয় বিজ্ঞানীদের। যেহেতু এই গ্রহণ মঙ্গলের মাটি থেকে দেখা গেছে, তাই তা মানুষের কারও পক্ষে আকাশে চোখ রেখে চাক্ষুষ করার সুযোগ হয়নি। বিজ্ঞানীদেরও নয়।