সূর্যের হাওয়া বাতাস জানতে খাবারের সঙ্গে পাড়ি দেবে কাসা নাসার অভিনব যন্ত্র
সূর্যে কেমন হাওয়া বইছে। কেমন সেখানকার হাওয়া বাতাস। সেসব কথা জানতে এবার পাড়ি দিচ্ছে এক যন্ত্র। যা পৃথিবী ছাড়বে খাবারদাবারের হাত ধরে।
সূর্যের উপরিস্তরে প্রবল হাওয়া বইছে। যাকে বলা হয় সোলার উইন্ড। যা অনেক সময় ঝড়ের মত বয়। যে ঝড়ের ঘনত্বও যথেষ্ট। সেই সঙ্গে আছে ঝড়ের গতি। সূর্যের উপরিস্তরের এই হাওয়া বাতাসের প্রাত্যহিক খবর রাখা দরকার। অনেকটা প্রতিমুহুর্তের খবরের মত।
যা বিজ্ঞানীদের সূর্যকে চিনতে ও সেখান থেকে পৃথিবীর কোনও সমস্যা হতে পারে কিনা তা আগাম জানতে সাহায্য করবে। এজন্য বিজ্ঞানীরা তৈরি করেছেন একটি নতুন যন্ত্র। করোনাল ডায়াগনস্টিক এক্সপেরিমেন্ট বা কোডেক্স।
এই যন্ত্রকে সহজ করে করোনাগ্রাফ বলা হচ্ছে। যা তৈরি হয়েছে ২টি দেশের মহাকাশ গবেষণা সংস্থার যৌথ প্রচেষ্টায়। দক্ষিণ কোরিয়ার কাসা এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নাসা যৌথ উদ্যোগে এই যন্ত্রটি তৈরি করেছে।
যন্ত্রটি উড়ে যাবে আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশনে। সেখানেই সেটি বসানো হবে। যা প্রতি ৯০ মিনিটের মধ্যে ৫৫ মিনিট সূর্যের উপরিস্তরের হাওয়া বাতাসের খবর নেবে এবং সেই তথ্য বিজ্ঞানীদের সরবরাহ করবে।
আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশনে যে মহাকাশচারীরা থাকছেন তাঁদের জন্য নানা প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র নিয়ে মাঝে মাঝেই মহাকাশযান পাড়ি দেয়। মহাকাশচারীদের খাবারদাবারও এভাবেই পাঠানো হয়।
স্পেসএক্স সংস্থার ফ্যালকন রকেট এই কাজ করছে। যে ফ্যালকন রকেটটি এবার উড়ে যেতে চলেছে ফ্লোরিডার কেনেডি স্পেস সেন্টার থেকে, তাতে করেই আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশনে পৌঁছে যাবে এই করোনাগ্রাফ যন্ত্র। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা