প্রত্যেক গ্রহে আলাদা শব্দ হয়, কেমন সেইসব শব্দ
সৌরমণ্ডলের প্রতিটি গ্রহের আলাদা আলাদা শব্দ। সেখানে যে শব্দগুলি হয় তা আবার পৃথিবীর মানুষের চেনা শব্দ। কোনটা কেমন জানিয়েছেন বিজ্ঞানীরা।
সৌরমণ্ডলের বিভিন্ন গ্রহ থেকে এ পৃথিবীতে কোনও শব্দ ভেসে আসেনা। কারণ বাতাসহীন মহাশূন্যে শব্দ বাহিত হয়না। তাই কান পাতলেও মহাশূন্য থেকে কোনও শব্দ শোনা যায়না। শব্দ কিন্তু হচ্ছেনা এমনটা নয়। যেমন সৌরমণ্ডলের প্রতিটি গ্রহে শব্দ হয়। সেই গ্রহের নিজস্ব সে শব্দ।
প্রত্যেকটি গ্রহের আবার আলাদা আলাদা শব্দ। সে শব্দ শোনার সুযোগ করে দিয়েছে উন্নত প্রযুক্তির মহাকাশযান। বিভিন্ন গ্রহের কাছে যান পাঠিয়েছেন বিজ্ঞানীরা।
মঙ্গলগ্রহে তো যান নেমে ঘুরেও বেড়াচ্ছে। নানা গ্রহের খুব কাছে পৌঁছনোর পর সেখানকার শব্দ রেডিও ওয়েভের মাধ্যমে সংগ্রহ করেছে যানগুলি। তারপর তা পাঠিয়ে দিয়েছে পৃথিবীতে।
বিজ্ঞানীরা সেসব রেডিও ওয়েভ-কে শ্রবণ সম্ভব শব্দে রূপান্তরিত করেছেন। তারপর শুনে দেখেছেন। আর তখনই জানা গিয়েছে বৃহস্পতির শব্দ, শনিগ্রহের মত নয়। আবার নেপচুনের শব্দ একদম আলাদা। মঙ্গলগ্রহের তো শব্দ সাধারণ মানুষও অনেকবার শুনে ফেলেছেন।
বিজ্ঞানীরা শুনে দেখেছেন, জলের তলায় নামলে যে একটা আলাদা শব্দ কানে বাজে সেই শব্দই হল বৃহস্পতিগ্রহের শব্দ। আবার শনিগ্রহের শব্দ হল অনেকটা ভৌতিক সিনেমায় ব্যবহার হওয়া সুরের মতন।
নেপচুনের শব্দ শুনলে মনে হবে যেন মহাসমুদ্রের ঢেউ। ঢেউয়ের শব্দে মুখর নেপচুন। তবে প্রত্যেক গ্রহের শব্দ আলাদা হলেও সব গ্রহের শব্দ কিন্তু একভাবে চলতেই থাকে। একই সুরে একই ছন্দে শব্দ হতেই থাকে। এটা হয় সেখানকার আবহাওয়ার তারতম্যের কারণে।