রাজ্যে কংগ্রেস নিজের মত করে লড়াই করতে চায়। নিজের পায়ে দাঁড়াতে চায়। আর তারজন্য দলকে রাস্তায় নামাতে চাইছেন তাঁরা। অর্থাৎ রাজনৈতিক কর্মসূচি পালন করতে চাইছেন তাঁরা। শনিবার দিল্লিতে কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধীর সঙ্গে দেখা করে এমনই জানালেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সোমেন মিত্র। এদিন বৈঠকের পর সোমেনবাবু জানান, রাহুল গান্ধী তাঁর কথা শুনেছেন। জানিয়েছেন প্রদেশ কংগ্রেস যা সিদ্ধান্ত নেবে তাই তাঁর সিদ্ধান্ত। এদিন সোমেনবাবু আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি কংগ্রেসের ব্রিগেডের জনসভাতেও রাহুল গান্ধীকে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। জানিয়েছেন তারপর তাঁরা রাজ্যজুড়ে জেল ভরো আন্দোলনও শুরু করতে চলেছেন।
রাজ্যে কংগ্রেসের অবস্থা ক্রমশ তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে। বিজেপি এখন পশ্চিমবঙ্গে দ্বিতীয় শক্তি হিসাবে উঠে এসেছে। তৃতীয় স্থানে চলে গেছে বামেরা। চতুর্থ স্থানে ভোট ব্যাঙ্ক ঠেকেছে কংগ্রেসের। বছরভর চোখ রাখলে সেভাবে কোনও কর্মসূচি বেশ কয়েক বছরে চোখে পড়েনি। এই অবস্থায় অধীররঞ্জন চৌধুরীকে সরিয়ে সোমেন মিত্রকে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি করা হয়েছে। কেন্দ্রে বিজেপি হঠাতে যেভাবে বিরোধী দলগুলিকে এক ছাদের তলায় আনার চেষ্টা কংগ্রেস করছে। যেভাবে বিরোধীদের ঐক্যবদ্ধ করতে কংগ্রেসের ডাকা বৈঠকে তৃণমূলকে দেখতে পাওয়া গেছে সেখানে রাজ্যে কংগ্রেসের অবস্থান কী হবে ২০১৯-এর লোকসভা ভোটে তা পরিস্কার হচ্ছিল না। এদিন বৈঠকের পর সোমেনবাবু যা বললেন তাতে রাজনৈতিক মহলের ধারণা রাজ্যে কংগ্রেস নিজেদের হারানো পায়ের তলার মাটি ফিরে পেতে চাইছে।