তৃণমূলের ব্রিগেডে উপস্থিত থাকছেন মল্লিকার্জুন খাড়গের মত হেভিওয়েট কংগ্রেস নেতা। রাহুল গান্ধী এদিন চিঠি পাঠিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে পাশে থাকার বার্তা দিয়েছেন। এই অবস্থায় পশ্চিমবঙ্গে তৃণমূল বিরোধী শক্তি হিসাবে পরিচিত কংগ্রেস কী চাপে পড়ল না? প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি কিন্তু একথা মানতে নারাজ। তিনি এদিন জানিয়ে দিলেন যারাই বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াই করবে তাদের জন্য কংগ্রেসের নৈতিক সমর্থন থাকবে। তার মানে এই নয় যে এখানে মমতার সঙ্গে কোনও জোটকে স্বীকৃতি দিচ্ছে কংগ্রেস। মল্লিকার্জুন খাড়গের মত নেতাদের ব্রিগেডের মঞ্চে থাকাও এটা প্রমাণ করছেনা যে কংগ্রেস এখানে তৃণমূলের বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যেতে পারবেনা। এদিন একথা পরিস্কার করে দিলেন সোমেনবাবু। উদাহরণ তুলে ধরে তিনি বলেন, উত্তরপ্রদেশে সপা-বসপা জোটে কংগ্রেস নেই। সে রাজ্যে একাই লড়বে কংগ্রেস। তা সত্ত্বেও জোটকে সমর্থন করেছে কংগ্রেস। কারণ জোট হয়েছে বিজেপির বিরুদ্ধে।
তৃণমূল ব্রিগেড করছে। বিজেপিও করতে চলেছে। কংগ্রেসও কী এমন পরিকল্পনা করছে? প্রদেশ সভাপতি জানান, তাঁদেরও ব্রিগেড করার ইচ্ছে আছে। তবে একটা ব্রিগেড জলে হয়না। তার জন্য প্রচুর অর্থের প্রয়োজন। তবে তাঁদের যে পরিকল্পনা আছে সেকথা জানিয়েছেন সোমেনবাবু। একথা মেনে নিয়েছেন এ রাজ্যে কংগ্রেসের সাংগঠনিক দুর্বলতা আছে। এদিকে রাহুল গান্ধী লোকসভা নির্বাচনের আগে কবে এ রাজ্যে আসবেন তা স্পষ্ট করে কিছু জানাতে পারেননি প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি।