পঞ্চভূতে বিলীন সোমেন মিত্র, একটা যুগের সমাপ্তি
নিমতলা শ্মশানঘাটে পঞ্চভূতে বিলীন হয়ে গেলেন বর্ষীয়ান কংগ্রেস নেতা সোমেন মিত্র। তাঁকে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে সকাল থেকেই উপচে পড়ে ভিড়।
কলকাতা : বাংলা রাজনীতির ‘ছোটদা’ সোমেন মিত্র আর নেই। খবরটা ভোরেই ছড়িয়ে পড়েছিল সর্বত্র। মধ্যরাতে হাসপাতালেই হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয় তাঁর। সকাল থেকেই তাঁকে শেষ শ্রদ্ধা জানিয়ে অনেকে ট্যুইট করেন। রাহুল গান্ধী যেমন ট্যুইট করেন, তেমনই শ্রদ্ধা জানান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শ্রদ্ধা জানান প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়ও।
এদিন দুপুরে সোমেন মিত্রের মরদেহ হাসপাতাল থেকে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁর কর্মস্থল বিধান ভবনে। তিনি বর্তমানে ছিলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতিও। প্রদেশ কংগ্রেসের প্রধান কার্যালয় বিধান ভবনে তখন উপচে পড়া ভিড়। তাঁদের প্রিয় নেতাকে দেখতে করোনা উপেক্ষা করেই কংগ্রেস নেতা, কর্মী, সমর্থকেরা ভিড় জমান সেখানে। যথেষ্ট ভিড়ে দূরত্ব বিধিও ছিলনা।
বিধান ভবনে বেশ কিছুক্ষণ শায়িত থাকার পর সেখান থেকে দেহ নিয়ে যাওয়া হয় বিধানসভায়। ৭ বার বিধায়ক হয়েছেন সোমেন মিত্র। বিধানসভা ভবন তাঁর অনেক কর্মকাণ্ডের সাক্ষী। সেই বিধানসভায় এদিন তাঁর দেহ নিয়ে আসা হলে তাঁকে শ্রদ্ধা জানান তৃণমূল, বাম, কংগ্রেস সহ সব দলের বিধায়কেরা। সেখান থেকে তাঁর দেহ নিয়ে যাওয়া হয় লোয়ার রাউডন স্ট্রিটের বাড়িতে। এখানে দেহ আনার পর তাঁর স্ত্রী শিখা মিত্র কান্নায় ভেঙে পড়েন। দেহ জড়িয়ে দীর্ঘক্ষণ ছিলেন তিনি। কান্নায় ভেঙে পড়েন পরিজনেরাও।
লোয়ার রাউডন স্ট্রিট থেকে সোমেন মিত্রের দেহ নিয়ে যাওয়া হয় আমহার্স্ট স্ট্রিটে তাঁর আদি বাসভবনে। যেখান থেকেই তাঁর রাজনীতির শুরু। যে বাড়িকে গোটা এলাকা জানে সোমেন মিত্রের বাড়ি বলে। সেখানে রাখা হয় তাঁর দেহ। এখানেও অনেকে শেষ শ্রদ্ধা জানান। তারপর সেখান থেকে দেহ নিয়ে যাওয়া হয় নিমতলা মহাশ্মশানে। এখানেই শেষকৃত্য সম্পন্ন হয় তাঁর। পঞ্চভূতে বিলীন হয়ে যান বঙ্গ রাজনীতির অতিপরিচিত এই ব্যক্তিত্ব।