প্রয়াত সোমনাথ চট্টোপাধ্যায়কে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে এদিন বেলভিউ নার্সিং হোমে হাজির হন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে সোমনাথবাবুকে শেষ শ্রদ্ধা জানানোর পর সোমনাথবাবুর পরিবারের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। সোমনাথ চট্টোপাধ্যায় মরণোত্তর দেহদান করেছিলেন। তাই এসএসকেএম হাসপাতালে দেহ পৌঁছে দেওয়ার আগে কোথায় কোথায় কীভাবে তাঁর মরদেহ শায়িত রাখা হবে তা ঠিক করা হয়।
এদিন বেলভিউ থেকে দেহ বার করার পর শববাহী গাড়িতে তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় কলকাতা হাইকোর্টে। কলকাতা হাইকোর্টে আইনজীবী হিসাবে তাঁর কর্মজীবন শুরু হয়। তাই সেখানে তাঁকে প্রথম নিয়ে যাওয়া হয়। দুপুরে কলকাতা হাইকোর্টের সামনে দেহ পৌঁছনোর পর সেখানে তাঁকে শ্রদ্ধা জানান অনেকে। ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
কলকাতা হাইকোর্টে বেশ কিছুক্ষণ দেহ শায়িত রাখার পর সেখান থেকে দেহ নিয়ে যাওয়া হয় বিধানসভায়। এই পথ গাড়ির সঙ্গে পায়ে হেঁটে যান মুখ্যমন্ত্রী। বিধানসভায় যখন সোমনাথবাবুর দেহ পৌঁছয় তখন সেখানে তোড়জোড় সম্পূর্ণ। বিধানসভা চত্বরেই চাঁদোয়া খাটানো হয়েছিল। তার তলায় শায়িত রাখা হয় সোমনাথবাবুর দেহ। ছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়, ফিরহাদ হাকিম, মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়, বিধায়ক তাপস রায় সহ অনেকে। শ্রদ্ধা জানান বাম নেতারাও। ছিলেন প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী অসীম দাশগুপ্ত, সুজন চক্রবর্তী, তন্ময় ভট্টাচার্য, সুধাংশু শীল, রবীন দেব সহ অনেক বাম নেতা। শ্রদ্ধা জানান কংগ্রেসের প্রদেশ সভাপতি অধীররঞ্জন চৌধুরী, আব্দুল মান্নান, মনোজ চক্রবর্তী। এদিন বিধানসভায় গান স্যালুটের মধ্যে দিয়ে সোমনাথবাবুকে যথাযোগ্য সম্মান জানানো হয়। গান স্যালুটের পর তাঁর দেহ নিয়ে শববাদী যান রওনা দেয় তাঁর বাসভবনের উদ্দেশে।