লোকসভার প্রাক্তন স্পিকার এবং ১০ বারের লোকসভার সাংসদ সোমনাথ চট্টোপাধ্যায়ের মৃত্যুতে তাঁরা শোকাহত। ভারতীয় সংবিধানের ভিতকে সুরক্ষিত রাখতে বিশেষত সংবিধানের অসাম্প্রদায়িক গণতান্ত্রিক কাঠামো ও যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোকে ধরে রাখতে তিনি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন। সোমনাথ চট্টোপাধ্যায়ের মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়ার প্রায় ৫ ঘণ্টা পর সিপিএম পলিটব্যুরোর তরফে ট্যুইট করে এভাবেই কতকটা গতানুগতিক ঢঙে নিয়মরক্ষা করা হল। কিন্তু কোথাও উল্লেখ হলনা তিনি কোনও দলের জন্য জীবনপাত করেছেন। যেন একজন বিখ্যাত রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের মৃত্যুতে শোকজ্ঞাপন হল। সিপিএমের কোনও প্রাক্তন সাংসদের প্রতি নয়। অন্তত এমনই মনে করছেন বামমনষ্ক বহু মানুষ।
দল থেকে বহিষ্কৃত হয়েছিলেন ২০০৮ সালে। পুরমাণু চুক্তিকে কেন্দ্র করে দলের সঙ্গে মতের অমিল হওয়ার পর সোমনাথবাবুকে দল থেকে বহিষ্কার করে সিপিএম। কিন্তু তার আগে সিপিএমের হয়েই ১০ বার লোকসভা নির্বাচনে জিতে এসেছিলেন সোমনাথ চট্টোপাধ্যায়। দলে তাঁর অবদান যে অনস্বীকার্য তা এখনও মেনে নেন বহু সিপিএম নেতা। এহেন এক বর্ষীয়ান নেতাকে কেবল দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে বলে সিপিএমের এমন দায়সারা শ্রদ্ধাকে বহু মানুষই ভাল চোখে নিচ্ছেন না। বামমনষ্ক মানুষজনও এই কাজে প্রবল ক্ষোভ প্রকাশ করছেন।