অন্য পথে বৃক্ষনিধনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদী বাঙালি সরোদ বাদক
দেদার গাছ কাটার জেরে নষ্ট হচ্ছে জলবায়ু ভারসাম্য। এর বিরুদ্ধে নানাভাবে প্রতিবাদ হচ্ছে। একজন সুরের পূজারি হিসাবে তাঁর মত করে প্রতিবাদী বাঙালি সরোদীয়া।
আদ্যন্ত বাঙালি। নাম সৌমিক দত্ত। কিন্তু ভারতে থাকেন না তিনি। থাকেন লন্ডনে। আর তাঁকে সকলে একডাকে চেনেন তাঁর সরোদ বাদনের মূর্ছনায় বিভোর হতে পারার জন্য। একজন স্বনামধন্য সরোদীয়া সৌমিক দত্ত এবার তাঁর সরোদকেই বেছে নিলেন প্রতিবাদের কণ্ঠ হিসাবে। সুর চড়াল প্রতিবাদের ভাষা। সৌমিক দত্ত প্রকাশ করলেন তাঁর একক সরোদ বাদন টাইগার, টাইগার। আগে জঙ্গল বলে একটি একক করেছিলেন তিনি। টাইগার, টাইগার তারই শেষ অধ্যায়।
তাঁর সরোদের সুরে জায়গা পেয়েছে ভারতীয়, ব্রাজিলীয় ও মালয়েশীয় সুরের ধরণ। এই ৩ দেশের সুরের মিলনে এক ছুঁয়ে যাওয়া সুরের জন্ম দিয়েছেন সৌমিক। যা একাধারে মন ভাল করা সরোদ। আবার সেটাই কোথাও কড়া প্রতিবাদের ভাষা।
সৌমিক দত্ত জানাচ্ছেন, ভারত, ব্রাজিল ও মালয়েশিয়া, এই ৩ দেশেই যথেষ্ট গাছ কাটা হয়। এতটাই নির্বিচারে এখানে বৃক্ষনিধন হয় যে তা জলবায়ুর জন্য এক অশনি সংকেত ডেকে আনছে।
সৌমিক জানিয়েছেন, এই ৩ দেশের বাদ্যও তাঁর সরোদের সঙ্গে বেজেছে। যা আদপে তুলে ধরেছে এক প্রতিবাদী সুর। ব্যবহার হয়েছে ড্রাম, তবলা আবার ব্যবহার হয়েছে আদিবাসীদের কাঠের বাদ্যের অজানা সুর।
সারা বিশ্ব জুড়েই বন্যপ্রাণ বড় চাপের মধ্যে রয়েছে বলে মনে করেন সৌমিক। আর তাই আজ কোভিডের জন্য সকলে গৃহবন্দি বলে মনে করেন তিনি। তাঁর দাবি, যত মানুষ বন্যপ্রাণকে এভাবে চাপের মধ্যে ফেলবে, ততই এমন ভয়ংকর কিছুর মধ্যে মানুষকে পড়তে হবে। আর্থ ডে-কে সামনে রেখেই তাঁর টাইগার, টাইগার সামনে আনলেন সরোদীয়া সৌমিক দত্ত। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা