অবস্থার অবনতি হওয়ায় ভেন্টিলেশনে সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়
কিংবদন্তী অভিনেতা সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাঁকে ভেন্টিলেশনে রাখা হয়েছে। তাঁর কিডনি, স্নায়ু ক্রমশ খারাপ হচ্ছে। মস্তিষ্ক সেভাবে কাজ করছে না।
কলকাতা : করোনা ধরা পড়ায় কিংবদন্তী অভিনেতা সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়কে ভর্তি করা হয়েছিল হাসপাতালে। তখন তাঁর জ্বর থাকলেও স্থিতিশীল ছিল তাঁর শারীরিক পরিস্থিতি। তারপর করোনা নেগেটিভ আসে। তিনি সুস্থও হয়ে উঠছিলেন। কিন্তু ফের শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে থাকে।
সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের মস্তিষ্ক যথেষ্ট সক্রিয় অবস্থায় থাকছিল না। ক্রমশ সাড়া দেওয়াও বন্ধ করে দেন তিনি। অগত্যা তাঁকে প্রথমে আংশিক ভেন্টিলেশনে দেওয়া হয়। তাতে কাজ না হওয়ায় অবশেষে তাঁকে ভেন্টিলেশনেই দিতে হল।
২২ দিন হল হাসপাতালে রয়েছেন সৌমিত্রবাবু। তাঁর শারীরিক অবস্থার ক্রমশ অবনতি হচ্ছে। তাঁর কিডনির কার্যকরিতা কমছে। ক্রিয়েটিনিন বেশি রয়েছে। সেইসঙ্গে ভাবাচ্ছে সোডিয়াম, পটাশিয়াম লেভেল। ইউরিক অ্যাসিডও সমস্যার সৃষ্টি করছে।
সৌমিত্রবাবু করোনামুক্ত হলেও করোনা তাঁর মস্তিষ্কে যে প্রভাব ফেলেছে তা নিয়ে চিন্তিত চিকিৎসকেরা। করোনার প্রভাবে তাঁর মস্তিষ্কের কার্যকারিতা কমেছে। এখন তো সাড়াই দিচ্ছেন না। ভেন্টিলেশনে রয়েছেন তিনি।
এরমধ্যে সৌমিত্রবাবুকে তাঁর পছন্দের গান শুনিয়ে তাঁর মস্তিষ্ককে সচল করার চেষ্টা করেছিলেন চিকিৎসকেরা। যাকে মিউজিক থেরাপি বলা হয়।
সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়কে সুস্থ করে তুলতে ১৫ সদস্যের একটি চিকিৎসক দল তৈরি করা হয়েছে। তাঁর শরীরের নানা সমস্যা ক্রমশ প্রকট হয়ে উঠছে। তবে চিকিৎসকেরা এখন চাইছেন যাতে সৌমিত্রবাবুর স্নায়ুকে চাঙ্গা করে তোলা সম্ভব হয়। তাঁর মস্তিষ্কের কার্য ক্ষমতা ফিরিয়ে আনতে চেষ্টা চালাচ্ছেন তাঁরা।
গত ১ অক্টোবর ভারতলক্ষ্মী স্টুডিও-তে সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় শ্যুটিংয়ে যান। পরের শ্যুটিংয়ের দিন ধার্য হয়েছিল ৭ অক্টোবর। কিন্তু তার আগেই তাঁর করোনা রিপোর্ট হাতে আসে।
গত ৫ অক্টোবর সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় ভর্তি হন হাসপাতালে। প্রথম দিকে কিছুটা সুস্থ থাকলেও তারপর থেকে ক্রমশ তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে থাকে। তাঁকে আইসিইউতে রাখা হয়।
অনেকে মনে করছেন শ্যুটিংয়ে বার হওয়ায় আক্রান্ত হয়ে থাকতে পারেন সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়। তাঁর দ্রুত আরোগ্য কামনা করছে গোটা টলিউড সহ তাঁর আপামর অনুরাগী।