জুলাইয়ের ২৬ থেকে ৪ অগাস্ট পর্যন্ত ইরানের হামাদান শহরে বসতে চলেছে এশিয়ান টিম চেস চ্যাম্পিয়নশিপ। দাবার এই আন্তর্জাতিক আসরে ভারতীয় দলে থাকার কথা রয়েছে মহিলা গ্র্যান্ডমাস্টার সৌম্যা স্বামীনাথনের। যিনি একসময় বিশ্ব মহিলা জুনিয়র চ্যাম্পিয়ন হয়ে ভারতের মুখ উজ্জ্বল করেছিলেন। কিন্তু এমন এক দাবা প্রতিভাকে হয়তো দলে পাচ্ছেনা ভারত। কারণটা ইরানের একটি প্রথা।
ইরানে ১৯৭৯ সালে ইসলামিক বিপ্লবের পর সে দেশে মহিলাদের পোশাক নিয়ে বেশ কিছু নিয়মবিধি চালু হয়েছে। যা কেবল সে দেশের মহিলা বলেই নয়, কোনও বিদেশি মহিলা সে দেশে পা দিলে তাঁকে মেনে চলতে হয়। সেই নিয়মে মহিলারা প্রকাশ্যে কেবল তাঁর মুখ, হাত ও পায়ের পাতা দেখাতে পারবেন। দেহের বাকি অংশ ঢেকে রাখতে হবে অত্যন্ত শালীন পোশাকে। তাই মাথা ঢাকার জন্য সে দেশের মহিলারা একটি বিশেষ ধরণের আচ্ছাদন ব্যবহার করেন। এশিয়ান টিম চ্যাম্পিয়নশিপের আগে তাই উদ্যোক্তাদের তরফে সব দেশকেই জানানো হয়েছে মহিলা প্রতিযোগীদের সেই নিয়ম মেনে চলতে হবে।
এখানেই আপত্তি সৌম্যার। তিনি ফেসবুকে সাফ জানিয়েছেন, এভাবে তাঁকে বিশেষ কোনও পোশাক পরতে বাধ্য করা তাঁর ব্যক্তি স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ। তাঁর ন্যুনতম মানবাধিকারের ওপর হস্তক্ষেপ। কোনও খেলোয়াড়ের ওপর এ ধরণের পোশাক বিধি চাপিয়ে দেওয়া অনুচিত বলে দাবি করে সৌম্যা স্বামীনাথন সাফ জানিয়েছেন তিনি তাঁর ব্যক্তি স্বাধীনতা রক্ষা করতে ওই প্রতিযোগিতায় অংশ নেবেন না। প্রসঙ্গত ২০১৬ সালে ভারতীয় শ্যুটার হিনা সিন্ধুও একই কারণে ইরানে অনুষ্ঠিত প্রতিযোগিতায় অংশ নেননি।