বিসিসিআইয়ের প্রেসিডেন্ট হতে চলার জন্য তাঁর জন্য রইল অনেক শুভেচ্ছা। তিনি ভারতের তথা বাংলার মুখ উজ্জ্বল করেছেন। সিএবি প্রেসিডেন্ট হিসাবে তাঁর কাজ নিয়ে তিনি গর্বিত। তাঁর নতুন ইনিংসের জন্য থাকল অনেক অনেক শুভেচ্ছা। হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের শেষে শ্রীনি লবির ক্যান্ডিডেট ব্রিজেশ প্যাটেলকে পিছনে ফেলে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের বিসিসিআই প্রেসিডেন্ট হওয়ার রাস্তা পরিস্কার হওয়ার পর এভাবেই তাঁকে শুভেচ্ছা জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রায় হারা ম্যাচ জেতার মতই গত রবিবার রাতে আচমকা বিসিসিআই প্রেসিডেন্ট হওয়ার দৌড়ে অনেক এগিয়ে থাকা ব্রিজেশ প্যাটেলকে পিছনে ফেলে দেন সৌরভ।
আগামী ২৩ অক্টোবর কমিটি অফ অ্যাডমিনিস্ট্রেটরস বিসিসিআইয়ের নতুন বডির হাতে ক্ষমতা তুলে দেবে। তারপরই ভারতীয় ক্রিকেট নিয়ামক সংস্থা বিসিসিআইয়ের প্রেসিডেন্ট পদে বসবেন সৌরভ। এর আগে জগমোহন ডালমিয়া এই পদে ছিলেন। তবে একজন বাঙালি হিসাবে ওই পদে সৌরভই প্রথম বসতে চলেছেন। গত শনিবার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর সঙ্গে বৈঠক এবং দীর্ঘদিনের ক্রিকেট প্রশাসক অনুরাগ ঠাকুরের সঙ্গে সৌরভের বৈঠকের পর অনেকেই ভেবেছিলেন সৌরভ সহজেই জিতছেন এই লড়াইটা। কিন্তু রবিবার রাতে আচমকাই সব পাশা উল্টে যায়। বিসিসিআই প্রেসিডেন্ট হওয়ার দৌড়ে অনেকটাই এগিয়ে যান ভারতীয় ক্রিকেট দলের প্রাক্তন ব্যাটসম্যান ব্রিজেশ প্যাটেল। সেই অবস্থা থেকে কার্যত খেলা ঘোরান সৌরভ।
সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়কে বিসিসিআই প্রেসিডেন্ট পদে বসার চেষ্টা না করে আইপিএল চেয়ারম্যান করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তিনি সেই অফার ফিরিয়ে দেন। সৌরভের কার্যত পাখির চোখ ছিল বিসিসিআই প্রেসিডেন্ট হওয়া। আর সেই লক্ষ্যে তিনি অবিচল থাকেন। বরং শেষ পর্যন্ত সৌরভ বাজি জেতার পর এখন ব্রিজেশ প্যাটেলকেই আইপিএলের চেয়ারম্যান করা হতে পারে। যদিও সৌরভ খুব বেশিদিন বিসিসিআই প্রেসিডেন্ট পদে থাকছেন না। ১০ মাস পর তাঁকে নতুন নিয়ম মেনে কুলিং অফ পিরিয়ডে যেতে হবে। সেটা তারপর ৩ বছরের জন্য।
এদিকে সৌরভ বিসিসিআই প্রেসিডেন্ট হওয়ার পাশাপাশি নতুন বডিতে আসছেন অমিত শাহ-র ছেলে জয় শাহ। এদিকে কদিন আগেই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সিএবি প্রেসিডেন্ট হয়েছেন সৌরভ। এখন তিনি বিসিসিআই প্রেসিডেন্ট হলে সিএবি প্রেসিডেন্ট পদ ফাঁকা হয়ে যাবে। সেখানে কে বসবেন সেটাও এখন ক্রিকেট মহলে যথেষ্ট আলোচ্য বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা