বিসিসিআই প্রেসিডেন্ট পদে বসা নিশ্চিত হওয়ার পর মঙ্গলবার বিকেলে শহরে ফিরলেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। সিএবি-তে তিনি আসবেন। এটা ঠিকই ছিল। ফলে সকাল থেকই সিএবিতে তাঁকে অভ্যর্থনা জানানোর প্রস্তুতি ছিল তুঙ্গে। সাজানো হয়েছিল গেট। তৈরি হচ্ছিল বিশাল কেক, গোলাপের মালা। একটা সাজসাজ রব উঠেছিল সিএবিতে। মঙ্গলবার দমদম বিমানবন্দরে নামার পর হবু বিসিসিআই প্রেসিডেন্টকে অভ্যর্থনা জানাতে হাজির ছিলেন তাঁর বহু ভক্ত, অনুরাগী। বিমানবন্দরেই গাড়িতে উঠতে বিশাল ভিড় ঠেলে এগোতে হয় তাঁকে। ভিড় না বলে মানুষের উচ্ছ্বাস বলাই ভাল। সেই বন্যায় ভেসে গাড়িতে চড়ে সৌরভ পাড়ি দেন সিএবি-র দিকে।
সিএবিতেও উচ্ছ্বাসের অন্ত ছিলনা। সেখানে সিএবি কর্তা, ক্রিকেট ব্যক্তিত্বরা ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন তাঁর অসংখ্য অনুরাগী। সিএবিতে ঢুকতে গিয়ে ভিড়ে থমকে যায় সৌরভের গাড়ি। মানুষ তাঁকে একবার দেখতে, একটা ছবি মোবাইলবন্দি করতে হুড়োহুড়ি শুরু করেন। উপচে পড়ে সংবাদমাধ্যমের ক্যামেরাও। ফলে সেখানেই দাঁড়িয়ে ক্রমাগত হর্ন দিতে থাকে সৌরভের গাড়ি। একসময়ে গাড়ি একটুও এগোচ্ছেনা দেখে নিজেই হাত নেড়ে সরে যেতে ইঙ্গিত করেন সৌরভ। ততক্ষণে আতসবাজি পুড়তে শুরু করেছে। ঝরে পড়ছে হলুদ ফুলের পাপড়ি। সৌরভের সাদা গাড়ি নিমেষে রং বদলে প্রায় হলুদ হয়ে যায়। অবশেষে পুলিশের তৎপরতায় গাড়ি এগোয়। সুসজ্জিত গেট পেরিয়ে ঢোকে সিএবিতে।
সিএবিতে প্রবেশের পর আর দেরি না করে নেমে পড়েন সৌরভ। ভিড়ের মধ্যেই তাঁকে ভিতরে নিয়ে যায় পুলিশ। সেখানে তখন অনেকেই উপস্থিত ফুল নিয়ে। তাঁকে অভ্যর্থনা জানানো শুরু হয়ে যায়। গোলাপের মালায় সম্বর্ধনা হয়। সৌরভ এদিন তাঁর সাংবাদিক সম্মেলনে বলেন, ভাল কাজের চেষ্টা করবেন। ঋদ্ধিমান সাহার উইকেট কিপার হিসাবে সাফল্যের প্রশংসা করেও সৌরভের পরামর্শ ভারতের জন্য বেশি টেস্ট খেলতে গেলে ঋদ্ধিকে উইকেটের সামনে দাঁড়িয়ে রানও করতে হবে। পাশাপাশি সৌরভ জানান, জগমোহন ডালমিয়ার পর তিনি বাংলা থেকে বিসিসিআই প্রেসিডেন্ট হয়েছেন ঠিকই তবে জগমোহন ডালমিয়ার ক্রিকেট প্রশাসক হিসাবে দক্ষতা অসাধারণ। তাঁর সঙ্গে তুলনার কোনও প্রশ্নই নেই। ডালমিয়ার দক্ষতার ৫০ শতাংশও করতে পারলে তিনি ধন্য।