সমুদ্রের ধারে ভেসে আসা সাদা হাঙরের পেট থেকে উধাও লিভার
দানব আকৃতির সাদা হাঙর। হাঙরের একটি প্রজাতি। এমনই একটি হাঙরের দেহ ভেসে এল সমুদ্রসৈকতে। যার পেটের দিকে চেয়ে হতবাক অনেকেই।
জায়ান্ট হোয়াইট শার্ক-এর দেহটা ভেসে এসেছিল সমুদ্রের ধারে। বালিতে এসে আটকে গিয়েছিল নিথর দেহটা। কিন্তু সেই হাঙরের দেহ উদ্ধার করতে এসে হতবাক কর্মীরা। হাঙরের পেট কাটা। আর তার পেটের মধ্যে থেকে উধাও লিভার!
এখন কি তাহলে হাঙরের লিভারও চুরি করা শুরু হয়ে গেল! বিশেষজ্ঞেরা কিন্তু ওই ক্ষতস্থান পরীক্ষা করার পর আরও চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে এনেছেন।
এটা কোনও মানুষের কাজ নয়। এমন নিখুঁতভাবে পেট কেটে হাঙরটির লিভার নিয়ে গেছে সমুদ্রের একটা আতঙ্ক। নাম ওরকা। যাকে কিলার হোয়েলস-ও বলা হয়ে থাকে। এরা এতটাই ভয়ংকর যে হাঙরও তাদের সঙ্গে এঁটে ওঠেনা।
ওরকা তিমিগুলি একসঙ্গে দল বেঁধে থাকে। আর আক্রমণ যখন করে তখন দল বেঁধেই করে। সমুদ্রের বড় মাছ মেরে কিন্তু তারা মাছটা খেয়ে নেয় না। বরং মাছের পেট থেকে বার করে নেয় লিভার, হার্ট।
ফ্যাট থাকা শরীরের ভিতরের যন্ত্র খেতেই তারা পছন্দ করে। বাকি শরীরটা নিয়ে তাদের এতটুকু উৎসাহ নেই। দক্ষিণ আফ্রিকার সমুদ্রসৈকতে ভেসে আসা এই হাঙরের দেহের সঙ্গেও ওরকা সেটাই করেছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞেরা। নাহলে এমন নিখুঁতভাবে পেট কেটে লিভার বার করে নেওয়া জলে অন্য কোনওভাবে সম্ভব নয় বলেই মত তাঁদের।
সাধারণত সমুদ্রে এই হোয়াইট শার্ক হাঙরগুলিই আতঙ্কের আর এক নাম। তারাও কাবু ওরকাদের সামনে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ওরকাদের আক্রমণের শিকার হয় এই হোয়াটই শার্কই।