ভারতে যখন দক্ষিণ আফ্রিকা খেলতে আসে তখনও কোভিড-১৯ এমন পরিস্থিতি তৈরি করেনি যে খেলা হবে না। ধরমশালায় প্রথম একদিনের ম্যাচ বৃষ্টির জন্য ভেস্তেও যায়। কিন্তু তারপরই ভারতে শুরু হয় ক্রমশ করোনার বহিঃপ্রকাশ। ফলে সরকারি নিষেধাজ্ঞা লাগু হতে থাকে। প্রথমে দর্শকাসন খালি করে খেলা হচ্ছিল। তারপর সেটাও কদিনের মধ্যেই বন্ধ। অগত্যা ভারতে থেকে আর লাভ ছিলনা দক্ষিণ আফ্রিকা ক্রিকেট দলের। তারা কলকাতা হয়ে দেশে ফেরে। আর দেশে ফেরার পরই পুরো দলকে পাঠানো হয় ১৪ দিনের কোয়ারেন্টিনে।
দক্ষিণ আফ্রিকার ভারতে আসা ক্রিকেট দলের সদস্যদের ১৪ দিনের কোয়ারেন্টিন শেষ হওয়ার পরই তাঁদের পরীক্ষা করা হয়। আর সেই করোনা পরীক্ষায় সকলেরই নেগেটিভ রিপোর্ট এসেছে। অর্থাৎ কারও দেহেই করোনা নেই বলে দক্ষিণ আফ্রিকা প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে। গত ১৮ মার্চ পুরো দল ভারত ছেড়ে দেশের উদ্দেশে পাড়ি দেয়। দেশে নামার পরই তাদের ১৪ দিনের কোয়ারেন্টিনে পাঠানো হয়।
প্রশাসনের তরফে নিশ্চিত করা হয়েছে কোনও ক্রিকেটারের মধ্যে করোনার কোনও উপসর্গও নেই। ক্রিকেট কেন এখন বিশ্বজুড়ে কোনও ক্রীড়া প্রতিযোগিতাই হচ্ছেনা। সব খেলার সঙ্গে যুক্ত খেলোয়াড়েরা বাড়িতেই রয়েছেন। করোনাকে রুখতে এটাই একমাত্র পথ। জাপানে হতে চলা অলিম্পিকের আসরও পিছিয়ে গেছে ১ বছরের জন্য। বন্ধ উয়েফার মত ফুটবল লিগ। বিশ বাঁও জলে ভারতের আইপিএল ক্রিকেটের আসর। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা