সমুদ্রের সবচেয়ে সুন্দর হত্যাকারীর দেখা মিলল বালুকাবেলায়
তাকে বলা হয় সমুদ্রের সবচেয়ে সুন্দর হত্যাকারী। দেখলে মনে হবে হাতে আঁকা ছবি। কিন্তু সেটাই শরীরের সঙ্গে ছোঁয়া লাগলে ভয়ংকর।
ঝলমলে দিন। রোদ ঝলমল আকাশে নীল সমুদ্রের ঢেউ খেলা করছিল বালুকাবেলার সঙ্গে। সোনার মত চিকচিক করছিল সোনালি বালির সৈকত। এমন এক পরিবেশে খুব স্বাভাবিকভাবে মানুষের ভিড় জমেছিল সমুদ্রের ধারে।
অনেকেই ধার ধরে হেঁটে যাচ্ছিলেন। নিছক বেড়ানোর ছলে। এমনভাবেই হেঁটে যাচ্ছিলেন এক মহিলা। হাঁটতে হাঁটতে কিছুটা এগিয়ে গিয়েছিলেন বালি ধরে। এখানটা তুলনায় অনেকটা ফাঁকা। সেখানেই প্রথম নজর কাড়ে প্রাণিটি।
এটা কি টিকটিকি? নাকি পাখি? নাকি অক্টোপাস? উজ্জ্বল নীল রংয়ে মোড়া দেহটা যে কোনও প্রাণির এটাই প্রথমে বিশ্বাস হওয়া কঠিন। এ যেন ছবির মত সুন্দর কিছু।
ওই মহিলার প্রথমে অবাক লাগে প্রাণিটাকে দেখে। এমন প্রাণি তিনি আগে দেখেননি। দেখলেন একটা নয়। অনেকগুলি এমন প্রাণি ছড়িয়ে রয়েছে বালির ওপর।
এত সুন্দর একটা প্রাণিকে হাতে নিয়ে দেখতে শখ হয় অনেকের। কিন্তু ওই মহিলা বুঝতে পারেন না জেনে এতে হাত দেওয়া হয়তো ভুল হবে। কে জানে হাতে ছোঁয়ালে কোন অজানা বিপদ অপেক্ষা করছে। তাই তিনি তাদের দূর থেকেই দেখে চোখ জুড়োন।
এই প্রাণি বড় একটা মানুষের নজরে পড়েনা। সমুদ্রেই থাকে। যাকে বলা হয় ব্লু ড্রাগন বা নীল ড্রাগন। অদ্ভুত চেহারা। ঠিক যেন একটা সুন্দর ড্রাগন। কিন্তু এই প্রাণি ভয়ংকর। এর যে হুল থাকে তাতে অনেক মানুষ কাহিল হতে পারেন। শুরু হয় প্রবল যন্ত্রণা ও বমি।
দক্ষিণ আফ্রিকার কেপটাউনের সমুদ্র সৈকতে এই নীল ড্রাগনের দেখা পান ওই মহিলা। পরে তিনি তাঁর ফেসবুক পেজে অভিজ্ঞতার কথা জানান। যা হুহু করে ছড়িয়ে পড়ে সোশ্যাল সাইটে।
এই প্রাণিটি যে একটা সামুদ্রিক প্রাণ, কোনও শিল্পকীর্তি নয় তাই যেন মেনে নিতে মন চায়না। এতটাই সুন্দর দেখতে এগুলি। কিন্তু প্রবল বিষাক্ত এক প্রাণি। যা প্রশান্ত, আটলান্টিক ও ভারত মহাসাগরে দেখা গেলেও সমুদ্রের ধারে আসে না। ফলে মানুষের খুব একটা নজরে পড়েনা এই প্রাণি।