বিশাল চত্বরে চুটিয়ে হয় হোলি খেলা, তবে এখানে রং একটাই
বিশাল এক চত্বর। সেখানেই চুটিয়ে খেলায় মেতে ওঠেন তরুণ তরুণীরা। একে অপরকে চলে ধরে পাকড়ে মাখামাখি। তবে এখানে রং একটাই।
ভারতের হোলি উৎসব বিশ্বখ্যাত। নানা রঙে রঙিন হওয়ার দিন হোলি বা বাংলার দোল। তবে এমন নয় যে এমন এক ধরনের উৎসব এখন কেবল ভারতেই পালিত হয়। কোথাও বহু বছর ধরে তো কোথাও হালফিল এমন ধরনের উৎসব প্রবল জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।
ভারতে হোলির দিন যেমন নানা রং ব্যবহার হয় একে অপরকে রঙিন করে তুলতে, দক্ষিণ কোরিয়ায় এমনই একটি উৎসব রয়েছে যেখানে হুবহু হোলির মত করেই চলে মাখামাখি, তবে রং একটাই। মাটির রং।
গোলা মাটিই এখানে একমাত্র মাখার রং। যা নিয়ে উৎসাহের অন্ত থাকে না তরুণ তরুণীদের মধ্যে। এই মাখামাখির খেলায় মেতে ওঠার ঘণ্টার পর ঘণ্টা সেখানে কাটাতে থাকে তারা। গায়ে পুরু হতে থাকে গোলা মাটির আস্তরণ।
এই মাটি গুলে তা একে অপরকে মাখানোর উৎসবে এই মাখামাখিকে অভিনবত্ব দিতে রয়েছে নানা উপায়। বিশাল চত্বরে কোথাও তৈরি হয় মাটির গোলার কৃত্রিম পুকুর। কোথাও স্রেফ পাত্র পূর্ণ করে মাটি ঢেলে দেওয়া হয় অন্যের গায়ে।
আবার রয়েছে জেলখানাও। সাজানো জেলখানা। যেখানে সাফসুতরো পোশাকে সকলে ঢুকে দাঁড়ান, আর তার বাইরে থেকে গরাদের ওপর পরপর ছুঁড়ে দেওয়া হয় মাটি গোলা জল। তাতে ভিতরে থাকা সকলে মাখামাখি হয়ে যান মাটির জলে।
এই উৎসব দারুণ জনপ্রিয় হলেও তা শুরু হয়েছে ১৯৯৮ সাল থেকে। মনে করা হয় দক্ষিণ কোরিয়ার বরিইয়ং নামে জায়গার মাটিতে রয়েছে প্রচুর খনিজ। যা শরীরের পক্ষে, চামড়ার পক্ষে উপকারি।
সেই মাটি থেকে তৈরি হয় নানা প্রসাধনী উপাদান। এমনই এক প্রসাধনী সংস্থা তাদের প্রচারের জন্য এই উৎসব শুরু করে। যা এখন দক্ষিণ কোরিয়ার অন্যতম পছন্দের উৎসবে পরিণত হয়েছে।