১৯৪২ সালের পর একদিনে এমন বৃষ্টি কখনও হয়নি
সেই ১৯৪২ সালের কথা। ৮০ বছর আগে এমন একটা বৃষ্টি দেখা গিয়েছিল। তারপর একদিনে এমন বৃষ্টি ফের ডুবিয়ে দিল শহর থেকে গ্রাম।
ক্রমশ পরিবেশ যে চরমপন্থি হয়ে উঠছে তা দেশ দুনিয়ার দিকে নজর করলেই বোঝা যাচ্ছে। ঝড়, বৃষ্টি, অনাবৃষ্টি বা তুষারপাত। সবই কেমন যেন চরম আকার নিচ্ছে। তারই একটা নজির দেখা গেল।
১৯৪২ সালের পর একদিনে যেখানে কখনও এমন বৃষ্টি হয়নি, সেখানে মঙ্গলবার এমন বৃষ্টি হল যে আমজনতা বাঁচার পথ খুঁজছেন। রাস্তাঘাট, বাড়িঘর, সাবওয়ে সবই জলের তলায় চলে গেছে। এখনও পর্যন্ত ৭ জনের প্রাণ কেড়েছে এই অস্বাভাবিক বৃষ্টিপাত।
আবহাওয়া দফতরের খতিয়ান বলছে দক্ষিণ কোরিয়ার সিওলে সোমবার রাতে ঘণ্টায় ১০০ মিলিমিটার বৃষ্টিও রেকর্ড হয়েছে। আবার লাগোয়া ডংজাক জেলায় ১৪১ মিলিমিটার বৃষ্টি রেকর্ড হয়েছে। যা বিশ্বের যে কোনও প্রান্তের জন্যই অস্বাভাবিক।
আগামী বৃহস্পতিবারের মধ্যে ৩০০ মিলিমিটারের বেশি বৃষ্টি হবে বলে মনে করছে আবহাওয়া দফতর। জিওঙ্গি শহরেরই এমন অবস্থা যে ১০৭ জন বাসিন্দা নিজেদের বাড়িঘর ছেড়ে একটি স্কুলে আশ্রয় নিয়েছেন। বিভিন্ন জায়গায় হড়পা বানের মত জল বয়েছে এখানে।
আবহাওয়া দফতর কিন্তু জানাচ্ছে এখানেই শেষ নয়, আরও বৃষ্টি অপেক্ষা করছে। গত ৮০ বছরে একদিনে এমন ভয়ংকর বৃষ্টি দেখেনি দক্ষিণ কোরিয়া।
বৃষ্টির জেরে রাস্তাঘাট আর কিছু দেখা যাচ্ছে না। অগুন্তি গাড়ি জলে ভেসে গেছে। বন্ধ হয়ে গেছে ফেরি যোগাযোগ। অনেক ট্রেন রুটে জল দাঁড়িয়ে যাওয়ায় সেখানে ট্রেন চলাচল বন্ধ। মানুষ কার্যত গৃহবন্দি হয়ে পড়েছেন।
এদিকে এমন বৃষ্টির হাত ধরে বিভিন্ন পাহাড়ি এলাকায় ধস নামার পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। ৪৭টি পাহাড়ি শহরে সতর্কতা জারি করা হয়েছে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা