বাগানের মাটি খুঁড়তেই সামনে এল প্রাচীন সংস্কৃতি
দেশের প্রেসিডেন্টের প্রাসাদ বলে কথা। তা সুরক্ষিত এবং যত্নে রাখা। সেখানেই মাটি খুঁড়তে যা বার হল তা নিয়ে প্রত্নতাত্ত্বিকরা আপ্লুত।
প্রেসিডেন্টের প্রাসাদের সামনের বিশাল চত্বর সবসময় সযত্নে রাখা হয়। এ বাগান বহু যুগ আগে ব্যবহার হত সেখানকার রাজার প্রাসাদের বাগান হিসাবে। যেখানে অতি বিরল সব ফুল দেখা যেত।
সেই রাজাদের প্রাসাদ এখন ব্যবহার হয় দেশের প্রেসিডেন্টের আবাসস্থল হিসাবে। সেখানেই গত ৪ মাস ধরে কিছু জায়গায় চলছিল খোঁড়াখুঁড়ি।
এই মাটি খোঁড়ার কাজ চালাচ্ছিলেন প্রত্নতাত্ত্বিকরা। তাঁদের মনে হয়েছিল এ বাগানে মাটি খুঁড়লে কিছু বিরল প্রাচীন নিদর্শন পাওয়া যেতে পারে।
মাটি খুঁড়ে অবশেষে তাঁদের ধারনাই সত্যির তকমা পেল। পাওয়া গেল এমন বেশ কিছু প্রাচীন নিদর্শন যা অমূল্য। প্রত্নতাত্ত্বিকরা মনে করছেন সিওলে দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্টের প্রাসাদ লাগোয়া বাগানে পাওয়া এই প্রত্ন নিদর্শন ৯১৮ থেকে ১৩৯২ খ্রিস্টাব্দের মধ্যের সময়ের।
সে সময় অবিভক্ত কোরিয়ায় রাজত্ব করেছেন গোরিও শাসকরা। পরবর্তীকালে সেখানেই শাসন করেন জোসিয়নরা। এই সব নিদর্শন ওই ২ সাম্রাজ্যের সময়ের বলেই মনে করছেন প্রত্নতাত্ত্বিকরা।
যেগুলি পাওয়া গিয়েছে তা সবই মাটির। মাটির পাত্র ও মাটির টালি পাওয়া গিয়েছে। আবার বেশ কয়েকটি চৌকো পাথর পাওয়া গিয়েছে, যার ওপর খোদাই করা রয়েছে চিনা ভাষায় নানা লেখা।
পুরো এলাকা ঘিরে নিয়ে সেখানে আরও খননকার্য চাইছিলেন প্রত্নতাত্ত্বিকরা। তাঁদের বিশ্বাস এখানে আশপাশে আরও মাটি খুঁড়লে আরও নানা নিদর্শন হাতে আসতে পারে। যার ঐতিহাসিক গুরুত্ব অপরিসীম। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা