কিছুতেই বিয়ে করতে চাইছেন না দেশবাসী, মাথায় হাত সরকারের
মহাসমস্যায় পড়েছে দেশের সরকার। হওয়ারই কথা। দেশের মানুষের বিয়ে করায় এমন অনীহা দেখে কি করবে তা বুঝে উঠতে পারছেনা সরকারও।
সমস্যাটা যে এমন প্রকট আকার নিতে পারে তার একটা ইঙ্গিত আগে থেকেই পাচ্ছিল সরকার। ২০২২ সালে এসে তা কার্যত রেকর্ড ভেঙে দিল। খতিয়ান অনুযায়ী বিয়েতে এত অনীহা ১৯৭০ সালের পর আর দেখা যায়নি।
গোটা দেশের মানুষ বিয়ে করতে একদম চাইছেন না। ফলে দেশে নববিবাহিতদের সংখ্যা নজর কাড়া কম। ২০২২ সালে এশিয়ার চতুর্থ বৃহত্তম অর্থনীতির দেশে বিয়ে হয়েছে ১ লক্ষ ৯২ হাজার। যা কার্যত মাত্র বলেই মনে করছে সে দেশের সরকার।
২০২১ সালে তেমন ইঙ্গিতই মিলেছিল। তবে ২০২২ সালের তুলনায় বেশি ছিল। ২০২২ সালে তা তার আগের বছরের তুলনায় ০.০৪ শতাংশ পড়েছে। আর এখন এটাই দক্ষিণ কোরিয়ার সবচেয়ে কম বিয়ের বছর।
আবার বিয়ে কমতে থাকায় তার সঙ্গে তাল মিলিয়ে দেশে নবজাতকের সংখ্যাও উল্লেখযোগ্য ভাবে কমেছে। যা নিয়ে দক্ষিণ কোরিয়া সরকার রীতিমত উদ্বেগে দিন কাটাচ্ছে।
কেন এতটা কমে গেল বিয়ের হার? এর কারণ খুঁজতে গিয়ে প্রথমেই কাঠগড়ায় চাপানো হচ্ছে করোনাকে। করোনা অনেক বিয়ে ভেঙে দিয়েছে। অনেক বিয়ে পিছিয়ে দিয়েছে। তার প্রভাব ২০২১ এবং ২০২২ সালে স্পষ্ট।
২০২০ থেকেই এই প্রভাব নজর কাড়া হতে শুরু করে। আর একটা সমস্যাও দক্ষিণ কোরিয়ায় নজর কাড়ছে। হিসাব বলছে যেটুকু বিয়ে ২০২২ সালে হয়েছে তাতে দেখা যাচ্ছে পাত্র পাত্রীদের গড় বয়সও অনেক বেড়েছে।
যেখানে ৩০ বছরের কম ছিল গড় বিয়ের বয়স, তা বেড়ে ২০২২ সালে দেখা যাচ্ছে পুরুষদের গড় বয়স ৩৩ বছর পার করেছে। আর মহিলাদের বিয়ের বয়স ৩১ বছর পার করেছে। আগের তুলনায় বেশি বয়সে বিয়ে করছেন সেখানকার যুবক যুবতীরা। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা