৮০০ বছর বয়সেও এমন সোনার মত রূপ নিয়ে ধরা দেয়, কি সেই গাছ
বয়স নাকি ৮০০ বছর। কারও মতে আরও বেশি তো কম হবেনা। তবে এই বয়সেও তার যৌবনে এতটুকু খামতি নেই। আজও সে সোনার রূপ নিয়ে ঝলমলে।
এমন হলুদ সোনার মত রং যে দূরদূরান্ত থেকেও সহজেই নজর কেড়ে নেয়। কাছে গেলে তার ঝাঁকরা স্বর্ণ রূপ মোহিত করে ফেলতে পারে যে কাউকে। আর সেই মোহিত হতেই তো কত মানুষ ভিড় জমান এখানে। কেবল এ গাছকে চোখের দেখা দেখতে।
এই গিনকো গাছটি শুধু একটি গাছ নয় একটা ইতিহাস। এমন মনে করা হয় যে এর বয়স ৮০০ বছর। কারও মতে তার চেয়েও বেশি হতে পারে এর বয়স।
কিন্তু তাকে দেখে কেউ বুঝতে পারবেনা তার বয়সের ভার। এখনও তরতাজা ঝলমলে যৌবন তার দেহ জুড়ে। দক্ষিণ কোরিয়ার এই গাছটি কেবল একটি গাছ নয়, তাদের দেশের এক গর্বও।
দক্ষিণ কোরিয়া জুড়ে কিন্তু গিনকো গাছের অভাব নেই। দেশজুড়েই নানা জায়গায় গিনকো গাছের দেখা মেলে। সেদিক থেকে এ গাছ যে দেখা যায়না এমনটা নয়।
কিন্তু ‘বাঙ্গি রি’ নামে এই গ্রামের ধারের গিনকো গাছটি সবার থেকে আলাদা। দক্ষিণ কোরিয়ার এটি জাতীয় সম্পদের তকমা পেয়েছে।
এর তরতাজা উজ্জ্বল হলুদ পাতা যখন ভরে যায় তখন মনে হয় যেন সোনা ঝরে পড়ছে তার দেহ থেকে। গিনকো এমন এক গাছ যা কিন্তু বহুদিন পর্যন্ত বাঁচে।
তাই দীর্ঘায়ু গাছ হয়তো আরও পাওয়া যাবে। কিন্তু এ গাছটি দক্ষিণ কোরিয়ার গর্ব, সেখানকার মানুষের গর্ব। যার ছবি সম্প্রতি ছড়িয়ে পড়েছে ইন্টারনেট জুড়ে।