১২ বছর পর এ দেশে বিয়ে করার আগ্রহ বাড়ল, বেশি পছন্দ বিদেশি
বিয়ে কমে যাচ্ছে। এমনটা কিন্তু অনেক দেশেরই খতিয়ান বলে দিচ্ছে। এ দেশেও তেমনটাই চলছিল। বিয়ে কমতে কমতে তলানিতে গিয়ে ঠেকেছিল। ১২ বছর পর সেই ছবি বদলাল।
বিয়েতে অনীহা দিনকে দিন বাড়ছে। অন্তত বিভিন্ন দেশের বিয়ে সংক্রান্ত খতিয়ান তাই বলছে। নারী পুরুষ আর বিয়ের রাস্তায় হাঁটছেন না। তাই এখন দেশে বিয়ে হলে খুশি হচ্ছে সে দেশের সরকারও। বিষয়টি এমনই পর্যায়ে পৌঁছে গেছে।
একটি দেশে যেখানে গত ১২ বছরে বিয়ে এতটাই কমেছে যে তা রীতিমত চিন্তার কারণ হয়ে উঠেছিল। সেই ছবি ১২ বছর পর সামান্য হলেও বদলাল।
২০২৩ সালের খতিয়ান সামনে এনে সে দেশের একটি সংবাদ সংস্থা জানাচ্ছে বিয়েটা সামান্য বাড়ার ইঙ্গিত দিয়েছিল ২০২২ সালই। ১ লক্ষ ৯২ হাজার বিয়ে হয়েছিল সে বছর।
তা ২০২৩ সালে বেড়ে হল ১ লক্ষ ৯৪ হাজার। যা খতিয়ান অনুযায়ী অন্তত বেড়েছে। আর এই ঊর্ধ্বগতি বজায় থাকলে আগামী দিনে তা দেশের জন্য মঙ্গলের বলেই মনে করছে দক্ষিণ কোরিয়া।
দক্ষিণ কোরিয়ায় এই বিয়ে কমার ধরনটা বুঝতে গেলে পিছন ফিরে তাকাতে হবে। ১৯৯৬ সালে সে দেশে বিয়ে হয়েছিল ৪ লক্ষ ৩৫ হাজার। তা ১৯৯৭ সালে কমে দাঁড়ায় ৪ লক্ষে।
আর সেই বিয়ের সংখ্যা ২০২১ সালে কমে দাঁড়ায় ২ লক্ষে। ক্রমশ কমতেই থেকেছে বিয়ের সংখ্যা। গত ১২ বছরে দেখা গেছে দক্ষিণ কোরিয়ায় তার আগের বছরের বিয়ের সংখ্যার চেয়ে তার পরের বছরের বিয়ের সংখ্যা কমেছে।
সেটা ১২ বছর পর প্রথম বাড়ল ২০২৩ সালে। তার আগের বছরের তুলনায় ২০২৩ সালে বিয়ে বেড়েছে ২ হাজার। ২০২৩ সালের কিন্তু অন্য একটি খতিয়ান দক্ষিণ কোরিয়া সরকারকে কিছুটা চিন্তায় রাখল।
২০২৩ সালে সে দেশে শিশু জন্মের হার ৭.৭ শতাংশ কমেছে। যা দক্ষিণ কোরিয়ার ইতিহাসে ১ বছরে সবচেয়ে নিচে নেমে যাওয়া শিশু জন্মের অঙ্ক। অন্যদিকে বিদেশিদের বিয়ে করার প্রতি আগ্রহও দক্ষিণ কোরীয়দের মধ্যে বেড়েছে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা