ইহলোক ত্যাগ আনন্দময় করতে হাসপাতালে বিশেষ ঘর
যত হাসপাতাল রয়েছে সেখানে ১টি করে আলাদা ঘর তৈরি করতে হবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে। এক অভিনব ধারনা সামনে আনল এই দেশ।
যে সব হাসপাতালের শয্যা সংখ্যা ৩০০-র বেশি এ নিয়ম তাদের ক্ষেত্রেই বিশেষভাবে প্রযোজ্য। তাদের এবার হাসপাতালে একটি আলাদা ঘর তৈরি করতে হবে। সেই ঘরটি আলাদা রাখা থাকবে। সরকার এই নিয়ম জারি করেছে।
দেশের প্রতিটি ৩০০-র বেশি শয্যা সংখ্যার হাসপাতালকে এই নিয়ম কার্যকর করার জন্য সর্বাধিক ১ বছর পর্যন্ত সময় দেওয়া হয়েছে। কেন এই ঘর?
দক্ষিণ কোরিয়া সরকার জীবনের শেষে পৌঁছে যাওয়া রোগীদের শেষ কয়েকটি মুহুর্তকে আনন্দদায়ক করতে চায়। চায় ওই মানুষটির ইহলোক ত্যাগটি যেন সম্মানজনক হয়। সেজন্য হাসপাতালে একটি ঘর থাকবে।
যে রোগীর আর কিছুই করার নেই, তাঁকে ওই ঘরে এনে রাখা হবে। সেই ঘরে ওই ব্যক্তির পরিবারের সকলে তাঁর সঙ্গে থাকবেন। ইহলোক ত্যাগের পূর্ব মুহুর্তে তিনি তাঁর পরিবারের সঙ্গে একসঙ্গে থাকবেন। সময় কাটাবেন।
এভাবে তিনি মানসিক দিক থেকে একটা সুখকর অনুভূতি নিয়ে জীবনে ইতি টানতে পারবেন। এজন্যই হাসপাতালে ওই ঘরটি থাকবে। যাতে ওই ব্যক্তি সম্মানজনকভাবে এই পৃথিবী ছেড়ে যেতে পারেন তার প্রয়োজনীয় বন্দোবস্ত ঘরটিতে থাকবে। দক্ষিণ কোরিয়ার এই অভিনব ভাবনা সে দেশে রীতিমত শোরগোল ফেলে দিয়েছে।
সরকার এই ঘরটির জন্য যে খরচ হবে তার ব্যয়ভার মানুষের জীবনবীমার মধ্যে অন্তর্গতও করেছে। সরকার মনে করে, হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ অধিকাংশ ক্ষেত্রেই সম্মানজনক হয়না। যাতে সকলে একান্তে পরিবারের সঙ্গে সময় কাটাতে কাটাতে জীবন শেষ করেন সে ব্যবস্থাই পাকা করতে চাইছে সরকার। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা