স্থানীয় সময় সকাল সাড়ে ৭টা। আচমকাই ৬ তলা হাসপাতালের দোতলার ইমারজেন্সি রুমে আগুন লাগে। আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়তে শুরু করে। মুহুর্তে আগুনের লেলিহান শিখা গ্রাস করে নেয় দোতলা ও তিনতলা। সেখানে তখন রোগী থেকে চিকিৎসক, নার্স থেকে হাসপাতাল কর্মীর ভিড়। আগুনে অনেকেই ঘটনাস্থলেই ঝলসে যান। আগুন ছড়ায় তিন তলাতেও। সেখানেও একই অবস্থা হয়। আগুনে বেশ কয়েকজনের পুড়ে মৃত্যু হয়। কালো ধোঁয়ায় অসুস্থ হয়ে পড়েন অনেকে। অসুস্থ রোগীদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে আতঙ্ক। হাসপাতালে ১৭১ জন রোগী তখন ভর্তি ছিলেন। তাঁদের অধিকাংশই বয়স্ক। তাঁদের দ্রুত বের করে আনার প্রক্রিয়া শুরু হয়। আগুন নেভাতে দমকলও সবরকম চেষ্টা শুরু করে। উদ্ধারকাজে লাগানো হয় হেলিকপ্টারও। তারপরও অনেক রোগী থেকে হাসপাতাল কর্মীকে উঁচু তলা থেকে বাঁচার জন্য ঝুলতে দেখা যায়।
আগুনে এখনও পর্যন্ত ৪১ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত বহু। তাঁদের অন্যান্য হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। মর্মান্তিক এই দুর্ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ কোরিয়ার মিরিয়াং শহরে। দক্ষিণ কোরিয়া প্রশাসনের দাবি দেশে বিগত ১৫ বছরে এত বড় আগুন লাগেনি। এদিকে আগুন লাগার পর দ্রুত জরুরি বৈঠকে বসেন দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট মুন জা ইন। আগুন লাগার কারণ জানতে তদন্ত কমিটি গড়েছেন তিনি। সিওলে বসতে চলেছে উইন্টার অলিম্পিকের আসর। ইতিমধ্যেই বিভিন্ন দেশ থেকে খেলোয়াড় ও কর্মকর্তারা সিওলে হাজির হতে শুরু করেছেন। এই অবস্থায় এমন বিধ্বংসী আগুনের ঘটনায় চিন্তিত দক্ষিণ কোরিয়া প্রশাসন।