তরুণীকে বিয়ে করতে ৩০০ গরু, ২০০ ষাঁড় পণ দিলেন যুবক
এ একেবারে উলট পুরাণ। পণ প্রথায় মেয়ের বাড়িকে পণ দিতে হয়। আর এখানে হল উল্টোটা। তরুণীকেই উল্টে পণ দিতে হল যুবককে।
কোনও সুন্দরী তরুণীকে যদি পছন্দ হয়, তাঁকে বিয়ে করতে চান কোনও যুবক, তাহলে তাঁকে পণ দিতে হবে। পণ বাবদ কি তিনি দিতে চান ওই তরুণীকে তাও আগে থেকে জানিয়ে দিতে হয় যুবককে।
তরুণীর পছন্দ হলে তবে বিয়ে। তবে পণ বিয়ের সময়ই দিতে হবে এমনটা নয়। তরুণীকে যা যা পণ হিসাবে দেওয়ার শর্তে বিয়ে হবে তা থাকবে লিখিত পড়িত ভাবে।
বিয়ের পর তরুণী যখন চাইবেন তখনই যুবককে ওই পণ মেটাতে হবে। এটাই রীতি। আর সেখানেই তরুণীদের স্ত্রী হিসাবে পেতে যুবকদের পণ হাঁকাও বেশ চমকপ্রদ হয়।
যেমন এক তরুণীকে স্ত্রী হিসাবে পেতে এক যুবক ৩০০টি গরু ও ২০০টি ষাঁড় দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিলেন। যা রীতিমত হইচই ফেলে দিয়েছে।
হিসাব বলছে এর আগে এত বেশি মূল্যের পণ দিতে কেউ চাননি। এটা তাই পণের জগতে রেকর্ড সৃষ্টি করেছে। এর আগে এক তরুণীকে বিয়ে করতে দিতে হয়েছিল ১০০টি গরু ও একটি ৬ সিলিন্ডারের গাড়ি। তবে তার মূল্যকে ছাপিয়ে গেছে এই ৩০০ গরু ও ২০০ ষাঁড়ের অফার।
ভারতে যেমন মেয়ের বাড়ি পণ দিয়ে থাকে, এখানে ঠিক উল্টোটা। দক্ষিণ সুদানে কিন্তু যুবকরাই পণ দিয়ে থাকেন। আর সেই পণের জগতে খুব বেশি শোনা যায় গরুদানের কথা।
এটাকে পণ হিসাবে নিলেও সেখানে এটাকে উপহার হিসাবে নেওয়া হয়। অনেকটাই নতুন দেশ দক্ষিণ সুদান। ২০১১ সালে সুদানের থেকে আলাদা হয়ে তৈরি হয় নতুন দেশ দক্ষিণ সুদান।
সেখানে এমন এক রীতি কিন্তু বহুকাল ধরেই চলে আসছে। বিশেষত এখানকার আদিবাসীদের মধ্যে এই বিয়ের সময় কনেকে পণ দেওয়ার রীতি প্রচলিত।