মহিলাকে শিংয়ের গুঁতো, ৩ বছরের জেল হল একটি ভেড়ার
ভেড়ারও জেল হয়! মনে হতে পারে অবাক কাণ্ড। তবে এটাই সত্যি। এক মহিলাকে গুঁতো মেরে ৩ বছরের জন্য জেল হল একটি ভেড়ার।
ভেড়া সাধারণত রেগে যাওয়ার প্রাণি নয়। বরং তার পালকের অনেক লাঠিপেটা খেয়েও সে শান্তই থাকে। কথাও শোনে। কিন্তু সেদিন ওই ভেড়াটার কি হয়েছিলে কেউ বলতে পারছেন না। এক মহিলাকে দেখে ভেড়াটি আচমকাই তেড়ে যায়। তারপর গুঁতিয়ে দেয় তাঁকে।
ভেড়ার গুঁতো খেয়ে উল্টে পড়ে যান ওই মহিলা। ভেড়া কিন্তু ছাড়ার পাত্র নয়। সে এবার ওই মহিলার বুকে একের পর এক শিংয়ের গুঁতো মারতে থাকে।
শিংয়ের সজোর গুঁতো খেয়ে ওই মহিলা এক সময় মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন। পুলিশ এসে ভেড়াকে ওই মহিলার হত্যার দায়ে পাকড়াও করে।
বিচার শুরু হয় ওই ভেড়ার। বিচারে তার সাজা হয়। বিচারক ভেড়াটিকে ৩ বছরের কারাদণ্ডের নির্দেশ দেন। শুধু ভেড়া নয়, তার মনিবও এই ঘটনায় সাজা পেয়েছেন। তবে তাঁর কারাবাস হয়নি। তাঁকে ক্ষতিপূরণ দিতে হয়েছে।
আদালত নির্দেশ দেয় যে পরিবারের মহিলার মৃত্যু ভেড়ার শিংয়ের গুঁতোয় হয়েছে, সেই পরিবারকে ক্ষতিপূরণ বাবদ ৫টি গরু দিতে হবে। ফলে ভেড়ার মালিককে তাঁর ভেড়ার কাণ্ডের জন্য ক্ষতিপূরণ গুনতে হয়েছে।
ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ সুদানে। দক্ষিণ সুদানের রামবেক শহরে ঘটা এই ঘটনা ও ভেড়ার কারাদণ্ডের খবর সেই দেশের সংবাদমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। ভেড়ার ৩ বছরের কারাদণ্ডের নির্দেশ নিয়ে গোটা বিশ্বেই চর্চা শুরু হয়।