তবে কী শোভন চট্টোপাধ্যায়ের ‘ঘর ওয়াপসি’ নিছক সময়ের অপেক্ষা? তৃণমূলের তৃণমূল স্তরে যেমন এই নিয়ে জল্পনা তুঙ্গে ঠিক তেমনই বিজেপিতেও। আমজনতাও সাদা চোখে এমনই সম্ভাবনা দেখছেন। অন্তত শুক্রবার তাঁর নিরাপত্তা রাজ্য সরকার ফের তাঁকে ফিরিয়ে দেওয়ার পর তো বটেই।
জল্পনা একটা ছিলই। বিজেপিতে যোগ দানের পর থেকেই শোভন-বৈশাখীর সঙ্গে গেরুয়া শিবিরের সখ্যতা তৈরি হচ্ছিল না। বরং দূরত্ব একটা থেকেই গিয়েছিল। খুব কম সময়ের মধ্যেই প্রকাশ্যে এসে পড়ে বিজেপি নেতাদের সঙ্গে শোভন-বৈশাখীর সম্পর্কের শীতলতা। শোভন চট্টোপাধ্যায়কে বিজেপিতে সক্রিয় ভূমিকায় দেখাই যাচ্ছিল না। এরমধ্যেই ভাইফোঁটার দিন সোজা মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে হাজির হন শোভন-বৈশাখী।
ভাইফোঁটা নিতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়িতে শোভনবাবুর যাওয়াকে নিছক সামাজিক সৌজন্য বললেও বিজেপি নেতারাও বুঝছিলেন বিষয়টা এতটা সহজ করে নেওয়ার নয়, আমজনতাও বুঝছিলেন হাওয়া বোধহয় অন্য দিকে ঘুরছে। এবার সেই সম্ভাবনা আরও প্রবল হল শোভন চট্টোপাধ্যায়ের মন্ত্রী থাকাকালীন রাজ্যের কাছ থেকে পাওয়া নিরাপত্তা ফের ফিরিয়ে দেওয়ায়। রাজ্য সরকার তাঁর সুরক্ষা তুলে নেওয়ার পর এদিন ফের তা ফিরিয়ে দিল। আর এখানেই প্রশ্ন জোড়াল হয়েছে শোভনবাবুর তৃণমূলে ফেরা কী তবে সময়ের অপেক্ষা?
বিজেপি লোকসভায় রাজ্যে ১৮টি আসন দখল করে বড় চমক দিয়েছে। ফলে অনেকেই মনে করছিলেন এবার রাজ্য জুড়েই বিজেপির আধিপত্য বাড়তে থাকবে। কিন্তু লোকসভার ওই দুরন্ত ফলের পর যতবারই তৃণমূল ভাঙিয়ে কাউন্সিলর বিজেপি নেতা মুকুল রায় দিল্লিতে নিয়ে গিয়ে ঢাকঢোল পিটিয়ে বিজেপি যোগদান করান, ততবারই তাঁরা ফিরে এসে কিছুদিনের মধ্যে বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে ফিরে আসেন। ফলে তৃণমূলের থেকে একের পর এক পৌরসভা কেড়ে নিলেও তা অল্প সময়ের মধ্যেই ফের তৃণমূলের দখলে চলে যায়। তবে শোভন চট্টোপাধ্যায়কে বিজেপিতে যোগদান করানো কিন্তু যথেষ্ট সাফল্য ছিল বিজেপির। কিন্তু এখন তা তারা ধরে রাখতে পারবে কিনা সেটাই বড় প্রশ্ন।