সবে ৩ সপ্তাহ হল বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন কলকাতার প্রাক্তন মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায় ও তাঁর বন্ধু বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়। শোভন চট্টোপাধ্যায়কে দলে পাওয়া বিজেপির জন্য বড় সাফল্য বলেই ধরে নিচ্ছিলেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। পশ্চিমবঙ্গে বিজেপিকে শক্তিশালী করতে তৃণমূল থেকে মুকুল রায়কে দলে টানা ছিল বড় সাফল্য। তারপর সবচেয়ে বড় সাফল্য হয়তো ছিল শোভন চট্টোপাধ্যায়কে দলে টানা। সেই শোভন চট্টোপাধ্যায় নাকি এর মধ্যেই বিজেপির প্রতি বীতশ্রদ্ধ। অন্তত তাঁর বন্ধু বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায় এমনই দাবি করলেন। তিনি জানিয়েছেন শোভন চট্টোপাধ্যায় ও তিনি নিজে একসঙ্গেই বিজেপি থেকে প্রয়োজনে ইস্তফা দিতে চান।
কী এমন হল যে এত তাড়াতাড়ি বিজেপি ছাড়তে চাইছেন তাঁরা? বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়ের দাবি, রাজ্য বিজেপির বেশ কয়েকজন নেতা তাঁর সম্বন্ধে মিথ্যা প্রচার চালিয়ে তাঁর ভাবমূর্তি কলঙ্কিত করার চেষ্টা করছেন। বিজেপির পরিবেশ অত্যন্ত বিদ্বেষপূর্ণ বলেও দাবি করেছেন তিনি। জানিয়েছেন তিনি বলেই নয়, শোভন চট্টোপাধ্যায়ও চাইছেন বিজেপি ছাড়তে। প্রয়োজনে তাঁরা ইস্তফাপত্র পাঠিয়ে দেবেন বলেও জানিয়েছেন বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি আরও বলেন, বিজেপি নেতা কৈলাস বিজয়বর্গীয়র সঙ্গে গত সপ্তাহে তাঁরা বৈঠক করেন। সেখানে তাঁরা জানতে পারেন যে রাজ্য বিজেপির অনেক নেতা নাকি ভাল করে জানেন না যে তাঁরা বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন। বরং সেই নেতারা তাঁর সম্বন্ধে মিডিয়ার কাছে মিথ্যা কথা রটিয়ে তাঁকে কলঙ্কিত করতে ব্যস্ত।
বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, শোভনবাবু রাজনীতি থেকে অবসর নেওয়ার কথাই বলছিলেন। তিনি নিজেকে রাজনীতি থেকে দূরে রাখতে চাইছিলেন। তিনিই শোভনবাবুকে উদ্দীপ্ত করে বিজেপিতে যোগ দেওয়ান। কিন্তু বিজেপির যা পরিস্থিতি তাতে ওই পরিবেশে তাঁদের পক্ষে থাকা সম্ভব নয় বলেও সাফ জানিয়ে দিয়েছেন বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়। এরচেয়ে পুরনো দলে থাকা ভাল ছিল বলেও জানান তিনি। গত ১৪ অগাস্ট মুকুল রায়ের হাত ধরে বিজেপি নেতা অরবিন্দ মেননের সঙ্গে কথা বলে দিল্লির বিজেপি সদর কার্যালয়ে গিয়ে বিজেপিতে যোগ দেন শোভন চট্টোপাধ্যায় ও বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা