প্রথম এমন নক্ষত্রপুঞ্জের দেখা মিলল, এমন হতে পারে বিশ্বাস হচ্ছেনা বিজ্ঞানীদের
মহাশূন্যের গভীরে উঁকি দিচ্ছে মহাকাশ বিজ্ঞান। অতিশক্তিশালী প্রযুক্তি বিজ্ঞানীদের হাতে এনে দিচ্ছে সেই অচেনা গভীর মহাশূন্যকে। সেখানেই এবার একদম নতুন এক দৃশ্য দেখলেন বিজ্ঞানীরা।
সৌরমণ্ডল ছাড়িয়ে এখন আরও বহু বহু দূরে গভীর মহাশূন্যে পৌঁছে যাচ্ছেন বিজ্ঞানীরা। অতিশক্তিশালী প্রযুক্তি, টেলিস্কোপের হাত ধরে সেখানকার সব অচেনা অজানা ছবি তাঁদের হাতে আসছে। তাঁরা তা গবেষণা করে চেনার চেষ্টা করছেন বহু বহু আলোকবর্ষ দূরের রহস্যকে।
এবার সেই রহস্য উন্মোচন করতে গিয়ে মহাশূন্যের হেঁয়ালির শিকার হলেন বিজ্ঞানীরা। তাঁরা এবার এমন এক নক্ষত্রপুঞ্জের দেখা পেয়েছেন যা নক্ষত্রপুঞ্জ তো বটে, কিন্তু সে নক্ষত্রপুঞ্জে তাঁরা কোনও নক্ষত্রের দেখা পাননি।
নক্ষত্রপুঞ্জ কিন্তু সেখানে কোনও নক্ষত্র নেই! এমনও হতে পারে নাকি! কিন্তু তাই তো দেখা যাচ্ছে। তন্নতন্ন করে খুঁজেও কোনও নক্ষত্রের দেখা মেলেনি।
অন্যদিকে এমন এক ঝাপসা নক্ষত্রপুঞ্জ এই প্রথম বিজ্ঞানীরা দেখতে পেলেন। এর আগে মহাকাশ বিজ্ঞানে এমন ঝাপসা নক্ষত্রপুঞ্জ কখনও নজরে পড়েনি। দেখা গেছে এই নক্ষত্রপুঞ্জে ভরা রয়েছে গ্যাস।
গ্রিন ব্যাঙ্ক টেলিস্কোপ দিয়ে উঁকি দিতে গিয়ে এই নক্ষত্রপুঞ্জের খোঁজ পেয়েছেন বিজ্ঞানীরা। যাকে তাঁরা ডার্ক গ্যালাক্সি বলেই নাম দিয়েছেন।
বিজ্ঞানীদের একাংশের মতে আবার এই নক্ষত্রপুঞ্জে একটাও নক্ষত্রে নেই এমনটা নয়, আসলে সেগুলি লুকিয়ে আছে। তাই তাদের নজরে পড়ছে না।
তবে সেটাও অনুমান মাত্র। এমন এক আজব নক্ষত্রপুঞ্জ শুধু বিজ্ঞানীদের অবাকই করছেনা, তাঁদের নতুন করে ভাবাচ্ছে। ২৭০ মিলিয়ন আলোকবর্ষ দূরে অবস্থিত এই ডার্ক গ্যালাক্সিতে যে গ্যাস ভরা রয়েছে তা অতিপ্রাচীন বলে মনে করছেন বিজ্ঞানীরা।