মহাশূন্যে জলের খোঁজ মিলল, কোথায় জানাল সোফিয়া
মহাশূন্যে জল তো রয়েছে। কোথায় থাকতে পারে তার একটা আন্দাজও করেন বিজ্ঞানীরা। কিন্তু এই প্রথম হাতেনাতে প্রমাণ পেয়ে গেলেন তাঁরা।
মহাশূন্যে জলের খোঁজ চালিয়ে যাচ্ছিলেন বিজ্ঞানীরা। কারণ জলই জীবন। পৃথিবীতে প্রাণ রয়েছে কারণ জল আছে। সৌরমণ্ডলে চাঁদ হোক বা মঙ্গলগ্রহ বা অন্যকোনও গ্রহে জলের অস্তিত্বের খোঁজ অনেক দিন ধরেই চালাচ্ছেন মহাকাশ বিজ্ঞানীরা। এখন উন্নত প্রযুক্তির হাত ধরে সৌরমণ্ডলের বাইরেও খোঁজ চলছে জোরকদমে।
সৌরমণ্ডলের বাইরের মহাশূন্যকে চেনার চেষ্টা চলছে নিরন্তর। সৌরমণ্ডলের বাইরের ৪টি গ্রহাণুকে চেনার লড়াই চালাচ্ছিলেন বিজ্ঞানীরা।
স্ট্র্যাটোস্ফেরিক অবজারভেটরি ফর ইনফ্রারেড অ্যাস্ট্রোনমি বা সোফিয়া যা নাসা এবং জার্মান স্পেস এজেন্সির যৌথ প্রকল্প তার চেষ্টায় আইরিস ও মাসালিয়া নামে ২টি গ্রহাণুকে পর্যালোচনার কাজ চলছিল।
আর ঠিক তখনই ওই ২টি গ্রহাণুতে আণবিক জলকণার খোঁজ পান বিজ্ঞানীরা। এই প্রথম মহাশূন্যে কোনও গ্রহাণুতে জলের খোঁজ পেলেন তাঁরা।
পৃথিবীতে যেভাবে জল এসেছিল সেভাবেই পৃথিবীর বাইরেও মহাশূন্যের যেকোনও জায়গায় জল আসবে। মহাশূন্যে ছড়িয়ে থাকা অগুন্তি গ্রহ, উপগ্রহ, গ্রহাণুতেও সেই একই পদ্ধতিতে জল আসবে।
বিজ্ঞানীরা তাই বোঝার চেষ্টা করছেন এই ২টি গ্রহাণু আইরিস ও মাসালিয়ায় এই আণবিক জলকণা এল কোথা থেকে। এই ২টি গ্রহাণুতে এই জলের খোঁজ তাঁদের নতুন আশা দেখিয়েছে।
বিজ্ঞানীরা পৃথিবী ছাড়াও অন্য কোথাও মানুষের বসবাসযোগ্য স্থান খুঁজে বেড়াচ্ছেন। সেই লড়াইয়ে তাঁদের এই জলের খোঁজ অনেকটা এগিয়ে দেবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞেরা। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা