ছায়াপথে লুকিয়ে ছিল বিশাল দানব, বদলে দিতে পারে প্রচলিত ধারনা
ছায়াপথে যে কত কিছু লুকিয়ে আছে তা কে জানে। তবে এবার এক অন্য লুকিয়ে থাকা জিনিস দেখে ফেললেন বিজ্ঞানীরা।
ছায়াপথে অনেক কিছুই লুকিয়ে থাকে। তার সবটা বিজ্ঞানীরাও জানেননা। তবে তাঁদের জানার চেষ্টায় ত্রুটি নেই। ফলে তাঁরা এমন অনেক কিছুর খোঁজ পান যা মহাকাশের অনেক প্রচলিত ধারনা বদলে দেয়। এবার মিল্কিওয়ে বা আকাশগঙ্গা ছায়াপথের মধ্যে এমন এক জিনিস তাঁরা খুঁজে পেলেন যা অনেক ধারনা বদলে দিতে পারে।
ইউরোপিয়ান স্পেস এজেন্সির গাইয়া স্পেস টেলিস্কোপ থেকে পাওয়া তথ্য পর্যালোচনা করে আন্তর্জাতিক একটি গবেষক দল এমন এক জিনিসের সন্ধান পেয়েছে যা সকলকে অবাক করে দিয়েছে।
একটি ব্ল্যাকহোল বা কৃষ্ণগহ্বরের দেখা পেয়েছেন বিজ্ঞানীরা। যা ছায়াপথের সবচেয়ে ভারী ব্ল্যাকহোল বলে মনে করছেন তাঁরা। সূর্যের চেয়ে ৩৩ গুণ বড় এক নক্ষত্র তার জীবনাবসানের পর এই কৃষ্ণগহ্বর সৃষ্টি করেছে।
কয়েকটি নক্ষত্রকে একটি বিশেষ কক্ষে ঘুরতে দেখে প্রথমে সন্দেহ হয় বিজ্ঞানীদের। তারপরই তাঁর খোঁজ পেয়ে যান ছায়াপথের সবচেয়ে ভারী ব্ল্যাকহোলটির। যা এখনও অজানাই ছিল।
প্রসঙ্গত সূর্যের সৌরমণ্ডল এই আকাশগঙ্গা নক্ষত্রপুঞ্জের একটি অংশ। ওই পরিবারের সদস্য। সেখানেই এবার বিজ্ঞানীরা সবচেয়ে ভারী কৃষ্ণগহ্বরের খোঁজ পেয়ে গেলেন।
মিল্কিওয়েতে এখনও বিজ্ঞানীরা ৫০টি ব্ল্যাকহোলের খোঁজ পেয়েছেন। আর বিজ্ঞানীরা মনে করেন একা আকাশগঙ্গা ছায়াপথেই ১০ কোটি এমন কৃষ্ণগহ্বর রয়েছে। ফলে জানার ভান্ডার এখনও অতি ছোট। তবে এক এক করে খোঁজ মিলতে থাকাটাও এক ধাপ করে এগিয়ে চলা।
বিজ্ঞানীরা আকাশগঙ্গা ছায়াপথের সবচেয়ে ভারী যে ব্ল্যাকহোলটির খোঁজ পেলেন তার নাম দেওয়া হয়েছে বিএইচ৩। যা পৃথিবী থেকে দেড় হাজার আলোকবর্ষ দূরে অবস্থান করছে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা