রেশমের গুটির মত চেহারার ঝাপসা ডিম, মহাকাশে এ দৃশ্য আগে কেউ দেখেনি
খুব পরিস্কার নয়। একটু ঝাপসা। তবে সেখানে যে গুটির মত চেহারার একটা ডিম রয়েছে তা বুঝতে অসুবিধা হচ্ছেনা। মহাকাশে এ দৃশ্য এই প্রথম দেখা গেল।
আমাদের সৌরমণ্ডল যে নক্ষত্রপুঞ্জের মধ্যে রয়েছে তাকে বলা হয় আকাশগঙ্গা ছায়াপথ বা মিল্কিওয়ে। এ দৃশ্য মিল্কিওয়ের বাইরের। সেখানেই এটি নজর কেড়েছে। ব্রহ্মাণ্ডের অনেক অনেক দূরে একটি রেশমের গুটির মত চেহারার ডিম দেখতে পেয়েছেন বিজ্ঞানীরা।
ওটা কি? ভাল করে দেখতে গিয়ে দেখা যায় ঝাপসা মত সেই লালচে ডিমটি প্রচুর ধুলো ও গ্যাসের কুণ্ডলীর মধ্যে রয়েছে। সেজন্যই সেটি ঝাপসা দেখাচ্ছে। তবে দেখা যাচ্ছে। বিজ্ঞানীদের বুঝতে অসুবিধা হয়নি যে ওটা একটি এমন নক্ষত্র যার জীবনকাল একদম অন্তিম পর্যায়ে এসে দাঁড়িয়েছে।
যে কোনও সময় সেখানে সুপারনোভা হবে। মানে একটা ভাবনার অতীত বিস্ফোরণ হবে। আর তারপর সেই নক্ষত্রটি সম্পূর্ণ শেষ হয়ে যাবে। সেই শেষ হওয়ার ঠিক আগে একটি নক্ষত্র এমন লালচে ডিমের মত চেহারা ধারণ করে। সেটাই দেখতে পেয়েছেন বিজ্ঞানীরা।
যা দেখার পর তাঁরা চোখ সরাতে পারেননি। কারণ এই প্রথম মহাকাশে নজর রেখে ঠিক শেষ হওয়ার আগের মুহুর্তের কোনও নক্ষত্রকে দেখতে পেলেন তাঁরা।
এত প্রযুক্তিগত উন্নয়ন, মহাকাশ বিজ্ঞানে প্রযুক্তির ব্যবহার, শক্তিশালী সব টেলিস্কোপ, আকাশে ঘুরে বেড়ানো কৃত্রিম উপগ্রহ থাকা সত্ত্বেও বিজ্ঞানীরা এ দৃশ্য আগে কখনও দেখার সুযোগ পাননি।
যে নক্ষত্রের এই অন্তিমক্ষণ দেখার সুযোগ মিলল তার নাম ডব্লিউওএইচ জি৬৪। নাম না বলে নম্বর বলাই ভাল। তবে এটাই তার পরিচিতি। পৃথিবী থেকে ১ লক্ষ ৬০ হাজার আলোকবর্ষ দূরে ঘটা এই ঘটনা বিজ্ঞানীদের কাছে মহাকাশ বিজ্ঞানে এক বড় পাওনা হয়ে রয়ে গেল।