আকাশগঙ্গা ছায়াপথ ঘিরে থাকা গরম গ্যাসের রহস্য উন্মোচন করে ফেললেন ভারতীয় বিজ্ঞানীরা
আকাশগঙ্গা ছায়াপথ ঘিরে রেখেছে এক গরম গ্যাস। এটা জানা ছিল। কিন্তু তার রহস্য উন্মোচন হয়নি। এবার সেটা করে ফেললেন ভারতীয় বিজ্ঞানীরা। সঙ্গী হলেন মার্কিন বিজ্ঞানীরাও।
যে সৌরমণ্ডলের একটি গ্রহ হল পৃথিবী, সেই সৌরমণ্ডল বা সূর্যের সংসার রয়েছে এক নক্ষত্রপুঞ্জের মধ্যে। যে নক্ষত্রপুঞ্জকে সকলে আকাশগঙ্গা ছায়াপথ বা মিল্কিওয়ে গ্যালাক্সি বলেই জানেন। এই আকাশগঙ্গা ছায়াপথকে ঘিরে রেখেছে এক ভয়ংকর উত্তপ্ত গ্যাস। সেই গ্যাসের ব্যাপকতা বিজ্ঞানীদের চিরদিন অবাক করেছে।
কিন্তু কোথা থেকে এই গরম গ্যাস এল, কেনই বা তা সেখানে এভাবে রয়েছে, তার কোনও সদুত্তর বিজ্ঞানীদের কাছে ছিলনা। মহাকাশ বিজ্ঞানের সেই ধাঁধাঁর উত্তর অবশেষে মিলল। আর তা খুঁজে পেলেন ভারতীয় মহাকাশ বিজ্ঞানীরা।
এই কাজে ভারতীয় বিজ্ঞানীদের সঙ্গে হাত মিলিয়েছিলেন মার্কিন বিজ্ঞানীরাও। ভারত ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিজ্ঞানীদের যৌথ উদ্যোগে এই রহস্য এতদিনে উন্মোচিত হল।
এই গরম গ্যাস কতটা গরম? বিজ্ঞানীরা দেখেছেন ১ কোটি ডিগ্রি কেলভিন গরম এই গ্যাস। মিল্কিওয়ের বিভিন্ন দিক দিয়ে তাঁরা এক ধরনের এক্স-রে বার হতেও দেখেছেন। যা এই গরম গ্যাসের উত্তাপের কারণ।
বিজ্ঞানীরা আরও জানাচ্ছেন, মিল্কিওয়েতে বিভিন্ন নক্ষত্র সৃষ্টি হচ্ছে। আবার অনেক নক্ষত্রের জীবন শেষ হচ্ছে। যে নক্ষত্রগুলির জীবন শেষ হচ্ছে, তার ক্ষেত্রে এক ভয়ংকর বিস্ফোরণ ঘটছে।
তারপর সেই নক্ষত্র পুরোপুরি শেষ হয়ে যাচ্ছে। কিন্তু এই বিস্ফোরণ এক ভয়ংকর উত্তাপ তৈরি করে চলেছে। যা এই গ্যাসকে আরও আরও গরম করে তুলছে।
বিজ্ঞানীরা আরও জানিয়েছেন, গ্যাস যেমন মিল্কিওয়ে থেকে ছিটকে বেরিয়ে তার আশপাশে একটা গ্যাসীয় কুণ্ডলী তৈরি করছে, তেমনই আবার গ্যাস মিল্কিওয়ের মধ্যে শোষিতও হচ্ছে।
যে গরম গ্যাস মিল্কিওয়েতে শোষিত হচ্ছে তাতে আবার রয়েছে আলফা উপাদান। সব মিলিয়ে মিল্কিওয়ের গরম গ্যাসের রহস্য অবশেষে উন্মোচিত হয়েই গেল। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা