প্রতিবেশি নক্ষত্রপুঞ্জকে খালি চোখেই দেখা সম্ভব, কীভাবে কোথায় দেখা যাবে তাকে
সূর্যের সৌরমণ্ডল একটি নক্ষত্রপুঞ্জের অংশ। আমরা যে নক্ষত্রপুঞ্জের অংশ তার সবচেয়ে কাছে রয়েছে আর এক নক্ষত্রপুঞ্জ। যাকে সন্ধে নামার পর খালি চোখেই দেখা সম্ভব।
আকাশ দেখা যাঁদের পছন্দ তাঁরা হয়তো ইতিমধ্যেই দেখে ফেলেছেন। যাঁরা সেভাবে অভ্যস্ত নন তাঁরাও এক বিরলতম দৃশ্য প্রত্যক্ষ করতে পারেন রাতের আকাশে। তার আগে বলে রাখা ভাল যে আমাদের সৌরমণ্ডল যে নক্ষত্রপুঞ্জের অন্তর্গত তাকে বলা হয় মিল্কিওয়ে। যাকে বাংলায় বলা হয় আকাশগঙ্গা।
এই মিল্কিওয়ে বা আকাশগঙ্গাকেই মহাকাশ বলে একসময় মনে করা হত। তারমধ্যেই রয়েছে সব কিছু। তার বাইরে কোনও মহাশূন্য নেই। যদিও সময়ের সঙ্গে সে ভুল ভেঙেছে। মহাকাশ বিজ্ঞান উন্নত হয়েছে।
বিজ্ঞানীরা জেনেছেন মিল্কিওয়ে আদপে কোটি কোটি নক্ষত্রপুঞ্জের একটি মাত্র। তবে পৃথিবীতে বলে মিল্কিওয়েকে পুরোপুরি জানা মুশকিল হয়েছে বিজ্ঞানীদের।
কারণ যারমধ্যেই অবস্থান করছেন তাকেই সম্পূর্ণ পর্যবেক্ষণ মুশকিল। কিন্তু তার প্রতিবেশি নক্ষত্রপুঞ্জকে তো পর্যবেক্ষণ করা যেতেই পারে। হাবল স্পেস টেলিস্কোপ সে কাজে সিদ্ধহস্ত।
মিল্কিওয়ের সবচেয়ে কাছে অবস্থান করা নক্ষত্রপুঞ্জটি হল অ্যান্ড্রোমিডা ছায়াপথ। পর্যবেক্ষণ থেকে জানা যায় এই নক্ষত্রপুঞ্জের মধ্যে রয়েছে কোটি কোটি নক্ষত্র। যার অনেকগুলিই সূর্যের চেয়েও অনেক বেশি উজ্জ্বল ও শক্তিশালী।
সন্ধে নামলে আকাশের দিকে চেয়ে কিন্তু মিল্কিওয়ের প্রতিবেশি এই নক্ষত্রপুঞ্জকে দেখা সম্ভব। তাও আবার খালি চোখে। তবে এক্ষেত্রে কয়েকটি বিষয় মাথায় রাখতে হবে।
আকাশের দিকে তাকিয়ে চাঁদের কৌণিক ব্যাস ধরে দেখলে হালকা সিগারের মত যেটি দেখতে পাওয়া যায়, সেটিই হল অ্যান্ড্রোমিডা ছায়াপথ। এজন্য অবশ্য আকাশ একদম পরিস্কার থাকতে হবে। শরৎকালে সবচেয়ে ভাল দেখা যায় এই অ্যান্ড্রোমিডা নক্ষত্রপুঞ্জকে।