মানুষ এখানে গেলে অনেকটা লম্বা হয়ে যায়, লম্বা হওয়ার কারণও রয়েছে
মানুষ এখানে পৌঁছে গেলে লম্বা হয়ে যান। যে কোনও মানুষের ক্ষেত্রেই এটা ঘটে। নারী পুরুষ নির্বিশেষে ঘটে। আর তা ঘটার কারণও রয়েছে।
মানুষ সারাদিনে কিছুটা লম্বা হয়। আবার আস্তে আস্তে তাঁদের উচ্চতা কমে। তবে এই উচ্চতা কমে যাওয়া বা বেড়ে যাওয়া সাধারণভাবে নজরে পড়েনা। কারণ সেই লম্বা থেকে উচ্চতা কমে যাওয়াটা এতই কম যে তা খালি চোখে দেখা অসম্ভব।
বিজ্ঞানীরা বলেন, দিন যত গড়ায় মানুষের উচ্চতা ততই কমে। যখন তাঁরা কাজকর্ম করেন, হেঁটে চলে বেড়ান। এটা ঘটে মাধ্যাকর্ষণের টানে। কিন্তু যখন মানুষ রাতে শুয়ে পড়েন, তখন তাঁদের উচ্চতার ওপর মাধ্যাকর্ষণের টান সেভাবে কাজ করতে পারেনা।
ফলে তাঁদের স্বাভাবিক উচ্চতায় তাঁরা ফিরে যান রাতে। এই উচ্চতার হ্রাস বৃদ্ধি সেভাবে নজরে না পড়লেও মহাকাশে কিন্তু মানুষ তাঁর স্বাভাবিক উচ্চতার চেয়ে অনেক বেশি লম্বা হয়ে যান।
এই লম্বা হওয়ার কারণ রয়েছে। মহাশূন্যে মাধ্যাকর্ষণের টান নেই। ফলে শিরদাঁড়ার ওপর টান তৈরি হয়না। বরং সেগুলি অনেকটাই শিথিল হয়ে যায়, আলগা হয়ে যায়। তার ফলে নভশ্চরদের উচ্চতা বেড়ে যায়।
৩ সেন্টিমিটার পর্যন্ত উচ্চতা বৃদ্ধি হতে পারে একজন মহাকাশচারীর। পৃথিবীতে যে মাধ্যাকর্ষণ সারাদিনে মানুষের স্বাভাবিক উচ্চতা সামান্য হলেও কমিয়ে দেয়, সেই মাধ্যাকর্ষণের অভাব মহাকাশে মানুষের উচ্চতা বাড়িয়ে দেয়।
আর তা মহাকাশচারীদের সঙ্গে ঘটেই থাকে। প্রসঙ্গত মহাকাশচারীদের ক্ষেত্রে এই মাধ্যাকর্ষণের অভাবে দিনের পর দিন কাটানো তাঁদের হাড়ের ঘনত্বও কমিয়ে দেয়।