মহাকাশে গেল আইসক্রিম, গেল পিঁপড়ে, অ্যাভোকাডো
মহাকাশে পৌঁছে গেল জিভে জল আনা আইসক্রিম। মহাকাশচারীদের জন্যই এই উদ্যোগ নেওয়া হল। সেই সঙ্গে মহাকাশে পৌঁছল পিঁপড়ে থেকে অ্যাভোকাডো ফলও।
মহাকাশে পৌঁছে গিয়েছেন অনেকদিন হল। সেখানে স্পেস স্টেশনে কাজ করে চলেছেন তাঁরা। পরিশ্রমের মাঝে খাওয়ারও তো দরকার পড়ে। খাবার যথেষ্টই অবশ্য মজুত থাকে। তবে রসনা অনেক সময় খাবারে বৈচিত্র্য চায়।
মনের মত খাবার পেলে বেশ হয়! তাই মহাকাশচারীদের জন্য এবার মহাকাশে পৌঁছে গেল আইসক্রিম। সুস্বাদু আইসক্রিম নিয়ে মহাকাশে পাড়ি দেয় স্পেসএক্স-এর একটি ফ্যালকন রকেট। যা এর আগেও একবার মহাকাশে ঘুরে এসেছে।
এবার দ্বিতীয় দফায় পাড়ি দিল সেখানে। তবে শুধু আইসক্রিম পৌঁছে দিতেই ফ্যালকন পাড়ি জমায়নি। সেইসঙ্গে পাঠানো হয়েছে বেশ কিছু পিঁপড়ে।
পিঁপড়ের মত প্রাণি মহাকাশে পাঠিয়ে সেখানে প্রয়োজনীয় গবেষণা ও পর্যবেক্ষণ চালাতে চাইছেন বিজ্ঞানীরা। এদিকে পিঁপড়ের সঙ্গে সঙ্গে অ্যাভোকাডো নামে ফলটিও পৌঁছেছে সেখানে।
সঙ্গে গেল একটি মানুষের সমান চেহারার রোবট। মহাকাশে পৌঁছনো অ্যাভোকাডো সহ অনেক তাজা ফল ও আইসক্রিম বাদে সবই যে গবেষণার প্রয়োজনে তা বলার অপেক্ষা রাখে না।
গত রবিবার নাসার কেনেডি স্পেস সেন্টার থেকে পাড়ি দেয় রকেটটি। এই নিয়ে স্পেসএক্স সংস্থা মহাকাশে মোট ২৩টি যান পাঠাল।
ফ্যালকন রকেটের পেটে রয়েছে ড্রাগন ক্যাপসুল। তার মধ্যেই রয়েছে যাবতীয় ফল, আইসক্রিম থেকে পিঁপড়ে, রোবট।
মহাকাশে ক্রমশ নিজেদের যাতায়াত সুগম করে তুলছে মানুষ। হালেই পৃথিবী থেকে প্রায় ১০০ কিলোমিটার পার করে মহাকাশে ঘুরে এসেছেন অ্যামাজন কর্তা জেফ বেজোস।