SciTech

মহাকাশ যাত্রায় নয়া ইতিহাস, রকেট বুস্টার কাজ সেরে ফিরল লঞ্চপ্যাডে

এও যে সম্ভব তা হয়তো অনেকেই ভাবতে পারেননি। এবার সেটাই ঘটে গেল। এই প্রথম মহাকাশ বিজ্ঞানে এক নতুন অধ্যায় যুক্ত হল। রকেট উড়ে গিয়ে ফিরে এল যথাস্থানে।

মহাকাশে রকেট উড়ে যাওয়া দেখে এখন মানুষ অভ্যস্ত। মহাকাশে কৃত্রিম উপগ্রহ হোক বা মানুষকে মহাকাশে নিয়ে যাওয়া যান বা সুদূর গভীর মহাকাশে পাড়ি দেওয়া মানববিহীন যান, পৃথিবী থেকে তাকে মহাকাশে পৌঁছে দেয় রকেট।

এবার স্পেসএক্স সংস্থার এমনই একটি রকেট কার্যত ইতিহাস রচনা করল। এটিকে এখনও পর্যন্ত বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী বুস্টার হিসাবেই ব্যাখ্যা করা হচ্ছে।


স্পেসএক্সের স্টারশিপ মেগারকেটকে নিয়ে মহাকাশে যাওয়ার প্রথম ধাপে পরাক্রমের সঙ্গে উড়ে যায় সুপার হেভি বুস্টারটি। যাকে ডাকা হচ্ছে ‘মাচাজিলা’ নামে।

এটি উচ্চতায় ৪০০ ফুটেরও ওপর। যেটি স্টারশিপ রকেটটি নিয়ে দক্ষিণ টেক্সাসের বোকা চিকা সমুদ্রতট থেকে উড়ে যায় আকাশে। স্টারশিপ রকেটকে একটা নির্দিষ্ট উচ্চতায় পৌঁছে দেওয়ার পর মাচাজিলা বুস্টারটি ফের পৃথিবীর দিকে ফিরে আসে।


এতদিন দেখা গেছে এমন ক্ষেত্রে সেটি যেখানে সেখানে পড়েছে। চেষ্টা থাকে সেটি যেন কারও ক্ষতি না করে সমুদ্রের জলে পড়ে। সেক্ষেত্রে অনেকটাই সফলও বিজ্ঞানীরা। কিন্তু এই প্রথম ঘটল অন্য ঘটনা।

সুপার হেভি বুস্টারটি ফিরে আসে একেবারে যেখান থেকে সে উড়েছিল সেই লঞ্চপ্যাডে। আকাশ থেকে সেটি গতিতেই নিচের দিকে নেমে আসে। তবে লঞ্চপ্যাডের কাছে পৌঁছে সেটির গতি কমে যায়।

অত্যন্ত সুপরিকল্পিত ও নিয়ন্ত্রিতভাবে সেটি লঞ্চপ্যাডে এসে আটকে যায়। ঠিক যেখান থেকে সেটি আকাশে উড়ে গিয়েছিল সেখানে। এতে আগামী দিনে মানুষের সামান্য ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা থাকবেনা।

এটিকে একাধিকবার ব্যবহারও করা যাবে। মহাকাশ বিজ্ঞানে মহাকাশ যাত্রার ক্ষেত্রে এটি এক যুগান্ত রচনা করল। আপাতত এটি পরীক্ষামূলক ভাবে উড়লেও তা যেভাবে সাফল্য পেল তাতে আগামী দিনে এটাই প্রচলিত হয়ে উঠবে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা

Show Full Article

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button