যে দেশের বিরুদ্ধে আলোচনা, সে দেশেরই বিশেষ স্যালাড বিক্রি হল সবার আগে
এমন কাণ্ড বড় একটা দেখা যায়না। যে দেশের বিরুদ্ধে আলোচনা ছিল বৈঠকের অন্যতম আলোচ্য, খাবারের প্লেটে সেই দেশের বিশেষ স্যালাডই বিক্রি হয়ে গেল সবার আগে।
স্যালাড তো অনেক রকমই ছিল। যে রেস্তোরাঁ দায়িত্বে ছিল তারা আয়োজনে ত্রুটি রাখেনি। রাখার কথাও নয়। নর্থ অ্যাটলান্টিক ট্রিটি অর্গানাইজেশন বা ন্যাটো-র বৈঠক বলে কথা। ৩০ দেশের এই সামরিক সংগঠন প্রয়োজনে বিপদগ্রস্ত দেশের পাশে দাঁড়ানোর ধর্ম পালন করে।
এক্ষেত্রে স্পেনের মাদ্রিদ থেকে একটু দূরে একটি জায়গায় বসেছিল এই গোষ্ঠীর বৈঠক। সেখানে অন্যতম আলোচ্য ছিল রাশিয়া।
রাশিয়ার বিরুদ্ধে যেখানে কথা হবে সেখানে কিন্তু একটি বিষয় সমবেত অনেককে অবাক করেছে। রসনার ক্ষেত্রে কিন্তু রাশিয়াকে দূরে সরিয়ে রাখেনি ন্যাটোর বৈঠকে থাকা রেস্তোরাঁ।
রেস্তোরাঁর স্যালাডের মেনুতে প্রথমেই ছিল রাশিয়ান স্যালাড। কড়াইশুঁটি, গাজর আর আলু মেয়োনিজে মাখিয়ে তৈরি হয় এই স্যালাড। যার সুখ্যাতি পৃথিবী জোড়া।
রাশিয়ার বিরুদ্ধে আলোচনায় এসে সেই রাশিয়ান স্যালাডই চেটেপুটে সাফ করে দিলেন প্রতিনিধিরা। মাত্র ১ ঘণ্টার মধ্যে রেস্তোরাঁর পুরো রাশিয়ান স্যালাডের ভাণ্ডার শেষ হয়ে যায়।
তখনও বাকি স্যালাড প্রচুর পড়ে আছে। হুহু করে বিক্রি হয়ে যায় রাশিয়ান স্যালাড। এই চাহিদা দেখে অনেকেই অবাক হয়ে গেছেন। এমনটাও সম্ভব!
খাবারের প্রশ্নে যে শত্রুমিত্র ভেদাভেদ হয়না তা ফের একবার প্রমাণ হল। রসনা তৃপ্তি সীমা রেখার তোয়াক্কা করে না। তা কেবল মনের গভীরে গিয়ে অন্তরাত্মাকে শান্তি দেয়। স্বাদের এই মহিমাই স্বচক্ষে দেখল ন্যাটোর বৈঠক।