বিদ্যুৎ বাঁচাতে হবে, টাই একদম পরবেন না, দেশবাসীর কাছে আর্জি স্বয়ং রাষ্ট্রপ্রধানের
একটু শুনতে অবাক লাগার মত হলেও এমনটাই হয়েছে। দেশের বিদ্যুৎ বাঁচাতে এবার টাই পরা থেকে দেশবাসীকে দূরে থাকতে অনুরোধ করলেন রাষ্ট্রপ্রধান।
ভারতে অফিসের বড়কর্তা তো বটেই, এমনকি অনেক কর্মীও টাই পরে ফর্মাল ড্রেসে অফিসে আসেন। অনেক অফিসে আবার কড়া নিয়ম থাকে টাই পরা নিয়ে। ভারতের বাইরে ইউরোপ বা আমেরিকায় আবার অফিস মানেই কোট ও টাই। এটাই সেখানকার অধিকাংশ অফিসের পোশাক বিধি। সে সরকারি হোক বা বেসরকারি।
সেই টাই পরার বাধ্যতা এবার কার্যত তুলে দিতে বললেন স্পেনের প্রধানমন্ত্রী। তিনি সরকারি ও বেসরকারি অফিসের কর্মী থেকে আধিকারিক সকলকেই টাই পরা থেকে বিরত থাকার আবেদন জানিয়েছেন।
পেড্রো স্যাঞ্চেজ জানিয়েছেন, তিনি নিজেই এখন টাই পরছেন না। দেশের বিদ্যুৎ বাঁচাতে টাই পরা এখন বন্ধ করতেই অনুরোধ করেছেন তিনি।
কিন্তু বিদ্যুতের সঙ্গে টাইয়ের সম্পর্ক কি? এতদিন তো মানুষ টাই পরেই অফিস কাছারি করছিলেন। তখন বিদ্যুৎ খরচ হয়নি? তারও ব্যাখ্যা স্প্যানিশ প্রধানমন্ত্রী দিয়েছেন।
পেড্রো স্যাঞ্চেজ জানিয়েছেন, এখন তাঁর দেশে পারদ রেকর্ড ছুঁয়েছে। এমন গরম স্পেন আগে তেমন দেখেনি। ভারতে স্বাভাবিক মনে হলেও স্পেনের মত শীতপ্রধান দেশে ৩৯ ডিগ্রিতে পারদ পৌঁছে যাওয়া সেখানকার বাসিন্দাদের জন্য নাভিশ্বাসের কারণ।
এমনকি সেভিল শহরে পারদ ৩৯ ডিগ্রি ছোঁয়ার পর বা খোদ রাজধানী মাদ্রিদে পারদ ৩৬ ডিগ্রি ছোঁয়ার পর স্পেনের সরকার এখন তাপমাত্রার চরম স্পর্শে নাজেহাল। চুটিয়ে চলছে এয়ার কন্ডিশনার।
এত এয়ার কন্ডিশনার স্পেনে চলেনা। ফলে হঠাৎ করে বিদ্যুৎ খরচ লাফ দিয়ে বেড়েছে। যে বিদ্যুৎ খরচের সঙ্গে পরিচিত নয় বিদ্যুৎ সংস্থাগুলি। তাই এয়ার কন্ডিশনার যাতে কিছুটা কম ব্যবহার হয় সেজন্য টাই পরতে মানা করছেন প্রধানমন্ত্রী।
এটা ঠিক যে টাই পরে থাকলে গরম আরও বেশি অনুভূত হবে। এত গরম সহ্য করার যেহেতু অভ্যাস নেই তাই টাই কিন্তু চরম অস্বস্তিরও কারণ হবে। তাই টাই না পরলে কষ্টও কমবে, বিদ্যুৎও বাঁচবে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা