পরীক্ষা হলে অভিনব উপায়ে নকল ছাত্রের, সকলের মতে এও এক শিল্পকর্ম
পরীক্ষা হলে উত্তর লুকিয়ে লিখে আনার চেষ্টা আগেও হত। এখনও হয়। কিছু পড়ুয়া তা করে থাকে। কিন্তু এই নকল করাকে শিল্পের পর্যায়ে নিয়ে গেল এক ছাত্র।
আইনের পরীক্ষা চলছিল। হলে সকলেই পরীক্ষা দিতে ব্যস্ত। এক ছাত্র সঙ্গে করে অনেকগুলি পেন নিয়ে এসেছে পরীক্ষা হলে। অনেক ছাত্রছাত্রীই পরীক্ষার সময় সঙ্গে বেশি করে পেন রাখে। যাতে কালি শেষ হলে সমস্যা না হয়।
এই ছাত্রের কাছে যে পেনগুলি ছিল তা সবই একরকম দেখতে। মাথায় নীল খাপ আপ পুরো পেনটা স্বচ্ছ প্লাস্টিকের। সেই প্লাস্টিকের গায়ে কারুকার্য করা।
বেশ চলছিল পরীক্ষা। এমন সময় গার্ডের দায়িত্বে থাকা শিক্ষকের মনে একটা সন্দেহ হয়। তিনি এগিয়ে এসে ওই ছাত্রের আনা পেনগুলি তুলে নেন। তারপর তা খুব কাছ থেকে খতিয়ে দেখার পর কার্যত আঁতকে ওঠেন।
পেনের গায়ে কার্যত সূক্ষ্ম শিল্পকীর্তির মত করে লেখা নানা প্রশ্নের উত্তর। এমন করে ১১টি পেনের স্বচ্ছ গায়ে ওই ছাত্র এমন নিখুঁত সুন্দর অথচ অতিক্ষুদ্র লেখায় ভরিয়ে দিয়েছে।
প্রায় পুরো বইটাই এভাবে টুকে নিয়ে পরীক্ষা দিতে চলে এসেছে সে। অথচ দূর থেকে যে কারও মনে হবে পেনের ওপর ডিজাইন করা। কারও বোঝাই মুশকিল যে ডিজাইন নয় আসলে ওগুলি উত্তর।
ধরা পড়ার পর ওই ছাত্রকে পরীক্ষা হল থেকে বার করে দেওয়া হয়। তার বিরুদ্ধে পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়। এগুলো তো নিয়মের মধ্যে পড়ে। কিন্তু এক অধ্যাপক পেনগুলিকে মহান শিল্পকর্ম হিসাবে তুলে ধরেন সোশ্যাল মিডিয়ায়।
অনেকে তা দেখে মন্তব্য করেন ওই ছাত্র যে সময় এই পেনের ওপর নকল করার শিল্পে ব্যয় করেছে, সেই সময়টা মন দিয়ে পড়লে তার পরীক্ষা ভাল হতে পারত। ঘটনাটি ঘটেছে স্পেনে।