বদ্ধ গুহায় ৫০০ দিন কাটালেন মহিলা, কেন এবং কীভাবে সেটাই আশ্চর্যের
একটা পুরো দিনও নয়, একটা বেলা এক বদ্ধ গুহায় কাটানো মুশকিল। সেখানে ৫০০ দিন কাটিয়ে ফেললেন এক মহিলা। কেন কাটালেন, কীভাবেই বা কাটালেন, জানালেন নিজেই।
এক অপরিসর গুহা। চারধার পাথরে ঢাকা। সূর্যের আলো সেখানে পৌঁছয় না। সেই বদ্ধ গুহায় কেউ কোথাও নেই। সেখানে ৫০০ দিন কাটিয়ে ফেললেন এক ৫০ বছরের মহিলা। ৫০০ দিন পর তাঁকে বার করে আনা হয় গুহা থেকে।
এমন নয় যে তিনি গুহায় হারিয়ে গিয়েছিলেন। কারও জানা ছিলনা তিনি কোথায়। এসব কিন্তু নয়। কার্যত স্বেচ্ছায় সেখানে প্রবেশ করেছিলেন ওই মহিলা। একটি বিজ্ঞানী দল তাঁকে সব সময় নজরে রেখেছিল।
তাঁকে আলো থেকে সময় কাটানোর জিনিস, খাবার, পানীয় জল সবই দিয়ে দেওয়া হত। কিন্তু তিনি বাইরে আসতেন না। গুহার মধ্যে পাঠিয়ে দেওয়া হত সবকিছু।
কেন এমন গুহা বন্দি হয়ে থাকা? পরীক্ষাটা ছিল মানুষ নিঃসঙ্গ অবস্থায়, নিজেকে বঞ্চিত মনে করে কতদিন এভাবে কাটাতে পারে এবং তার ওপর কি প্রভাব পড়ে সেটা দেখা।
বিজ্ঞানীরা দেখেছেন, স্পেনের গ্রানাদা-র ওই গুহায় স্পেনের বাসিন্দা বিট্রিজ ফ্লেমিনি থাকতে শুরু করার কিছুদিন পর দিন গুনতে ভুলে যান। নিজের মনে বই পড়তেন, ছবি আঁকতেন, শরীরচর্চা করতেন, লেখালিখি করতেন। আর এভাবেই একটা একটা করে দিন কাটাতে থাকেন তিনি। কিন্তু কখনও গুহা থেকে বাইরে বার হননি।
২০২১ সালের ২১ নভেম্বরে বিট্রিজ ফ্লেমিনি ওই গুহায় প্রবেশ করেন। তখন অতিমারির দাপটে সকলের মুখে মাস্ক থাকত। ফ্লেমিনি বাইরে বার হওয়ার পর সাংবাদিকদের জানান তাঁর এখনও মনে হচ্ছে যেন সকলে মাস্ক পরে আছেন। সময় যে এগিয়েছে তাঁর মনেই হচ্ছেনা।