বালির দিকে চেয়ে সমুদ্রের ধারে উড়ে বেড়াচ্ছে ড্রোন, কি করছে শুনলে অবাক হবেন
সমুদ্রের ধারে কোনও অসামাজিক কাজ হচ্ছে কিনা তা দেখছে না। পর্যটকদের সমস্যাও দেখছে না। দেখছে কেবল বালি। আসলে কি করছে ড্রোন তা জানলে অবাক হতে হয়।
সমুদ্রের ধারের সোনালি বালুকাবেলা বহু মানুষের ছুটি কাটানোর অন্যতম গন্তব্য। সমুদ্রের ধারে সময় কাটানো, স্নান করা, বালিতে শুয়ে বা বসে থাকা, সূর্যস্নান, এমন সব উপভোগ্য মুহুর্তগুলো কাটাতে বহু মানুষ সমুদ্রের ধারে ছুটি পেলেই হাজির হন। মনে হতেই পারে এসব পর্যটকদের ভাল মন্দের দিকে নজর রাখতেই ড্রোন ওড়ানো হচ্ছে সমুদ্রের ধারে। কিন্তু তা একেবারেই নয়। এ ড্রোন কোনও পর্যটকের দিকে নজর রাখে না। জল থেকে সম্ভাব্য বিপদের কথাও জানান দেয়না।
এই ড্রোন কেবল বালি দেখে। একদমই সঠিক। এ ড্রোন কেবল বালির দিকে একদৃষ্টে চেয়ে থাকে। কারণ এর কাজ জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবকে রুখে দেওয়া।
এক্ষেত্রে প্রশ্ন উঠতেই পারে যে বালির দিকে নজর রেখে আবহাওয়ার পরিবর্তনের প্রভাবকে কীভাবে রোখা সম্ভব? সেটা সম্ভব বলেই জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞেরা।
বালির ঘনত্ব কোনও সময় কমে যাচ্ছে কিনা সেদিকে নজর রাখে এই ড্রোন। এজন্য উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন ক্যামেরা ও উন্নত মানের সেন্সর রয়েছে ড্রোনগুলিতে।
বালির আয়তনের বেশি কম সম্বন্ধে তথ্য সংগ্রহ করে বালুকাবেলা যাতে তার সুস্থ অবস্থা ধরে রাখতে পারে সে বিষয়ে নজরদারি চালায় এই ড্রোন। বিশেষজ্ঞদের মতে এমন ড্রোন উড়িয়ে স্পেনের ক্যাটালোনিয়ার ৪.২ কিলোমিটারের বিস্তীর্ণ বেলাভূমিকে আবহাওয়ার পরিবর্তন থেকে রক্ষা করা সম্ভব হয়েছে।
এখানে ড্রোন স্থানীয় যে বালির স্তূপ তৈরি হয় তা নতুন করে তৈরি করতে সাহায্য করছে। রক্ষা করছে আবহাওয়া পরিবর্তনের ফলে তৈরি হওয়া কুপ্রভাব থেকে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা