এ শহরে বেড়াতে আসা পর্যটকদের গায়ে জল ঢেলে দিচ্ছেন স্থানীয়রা
এ শহরে প্রতিবছর পর্যটকদের ঢল নামে। সেই পর্যটনকেন্দ্রে পরিণত হওয়া শহরের মানুষ এখন পর্যটক দেখলে তাঁদের গায়ে জল ঢেলে দিচ্ছেন।
এ শহরে সারা বছরে ১ কোটি ২০ লক্ষের মত পর্যটক হাজির হন। এখানে ছুটি কাটান। তারপর ফিরে যান। এ শহরের একটা মুখ্য অর্থনৈতিক ভিত্তিও তাই পর্যটন। পর্যটনের ওপর নির্ভর করে বহু মানুষের সংসার চলছে।
এ শহরে পর্যটকদের অস্থায়ীভাবে বাড়ি ভাড়া দেওয়া একটা প্রচলিত ব্যবসা। এছাড়া খাবার দোকানগুলিও সারাক্ষণ ব্যস্ত থাকে। ভাল ব্যবসা। প্রচুর গ্রাহক। প্রায় সকলেই পর্যটক। কিন্তু সেই শহরের বাসিন্দারা এখন চাইছেন পর্যটক শূন্য শহর।
পর্যটকদের দেখলে তাঁরা এমন আচরণ করছেন যাতে পর্যটকরা এখানে আর আসার কথা না ভাবেন। বাকি পরিচিতদেরও এ শহরে আসতে মানা করেন। খাবার দোকানগুলিতে পর্যটক দেখলেই স্থানীয়রা পিচকারি দিয়ে জল ছিটিয়ে দিচ্ছেন।
পর্যটকরা খেতে শুরু করলেই তাঁরা পাশ থেকে জল ছুঁড়ে পর্যটকদের ভিজিয়ে দিচ্ছেন। খাবারে জল ফেলে দিচ্ছেন। ঘুরিয়ে ফিরিয়ে নয়, স্পষ্টই প্ল্যাকার্ড হাতে পর্যটকদের তাঁদের শহর ছেড়ে বেড়িয়ে যেতে বলছেন।
স্পেনের বিখ্যাত শহর বার্সিলোনায় পর্যটকদের তাড়ানোর জন্য উঠেপড়ে লেগেছেন স্থানীয়রা। এর কারণ মূলত আবাসন। এখানে পর্যটকদের মোটা টাকায় ফ্ল্যাট ভাড়া দেওয়া হয়। ফলে এখানকার বাসিন্দারা চাইলেও ফ্ল্যাটে খরচ করতে পারছেন না।
নতুন কিছু কেনা ধরাছোঁয়ার বাইরে। আবাসনের খরচ বেড়েছে বিপুল পরিমাণে। যে শহরে ১৬ লক্ষ মানুষের বাস, সেখানে প্রতি বছর ১ কোটি ২০ লক্ষ পর্যটক ঘুরছেন। পর্যটকদের জন্য শহরের সার্বিক অর্থনীতিই বদলে গেছে।
সেখানে বসবাস করার খরচ বিপুল পরিমাণে বেড়ে গেছে। এখানেই আপত্তি স্থানীয়দের। তাঁরা চাইছেন পর্যটকরা যেন বার্সিলোনায় না আসেন। তাহলে তাঁদের পক্ষে এ শহরে বসবাসটা সম্ভব হয়। খরচ এভাবে বাড়তে পারেনা।
এ নিয়ে কার্যত রাস্তায় নেমে প্রতিবাদে শামিল হয়েছেন বার্সিলোনার বাসিন্দারা। প্রসঙ্গত ইউরোপে ফ্রান্স হল সেই দেশ যেখানে সবচেয়ে বেশি সংখ্যক পর্যটক প্রতিবছর ভিড় জমান। দ্বিতীয় স্থানেই রয়েছে স্পেন।