রাতারাতি নীল হয়ে গেল গোটা গ্রাম, তারপর নীলই রয়ে গেল, কি হয়েছিল সেদিন
একটি গ্রামের প্রতিটি বাড়ি রাতারাতি নীল হয়ে গেল। তারপর থেকে আর তার রং বদল হয়নি। এখন তো পর্যটকরাও ভিড় জমাচ্ছেন এখানে।
এ গ্রাম চিরকাল সাদা রংয়ের বাড়িই দেখে এসেছে। শতাব্দী প্রাচীন এই গ্রামটি তার চারধারের গ্রামগুলির মতই ছিল। সাদামাটা গ্রামীণ জীবন। গ্রামের প্রতিটি বাড়ি সাদা রংয়ের ছিল। অন্য গ্রামের বাড়িগুলির মত।
কিন্তু ২০১১ সালে সব বদলে গেল। তাও রাতারাতি। গোটা গ্রামটা নীল হয়ে গেল। যা আজও রয়ে গেছে। এখন আবার এই নীল রংয়ের গ্রামটি দেখতে বহু পর্যটক ভিড় জমান এখানে। ২০১১ সালের আগে যে গ্রামকে কেউ চিনতই না, সেই গ্রাম কেবল তার নীল রংয়ের জন্য এখন অন্যতম জনপ্রিয় পর্যটনকেন্দ্র।
২০১১ সালে সোনি পিকচার্স একটি সিনেমা ‘স্মার্ফস’-এর প্রচারের জন্য এই গ্রামটিকে বেছে নেয়। সিনেমার প্রচারের কথা মাথায় রেখে গ্রামটির প্রতিটি বাড়ির রং সাদা থেকে নীল করে দেওয়া হয়।
এজন্য ৪ হাজার লিটার নীল রং দরকার পড়েছিল সে সময়। গ্রামটি নীল হয়েও যায়। কথা ছিল সিনেমার প্রচারের প্রয়োজনীয় কাজ শেষ হলে ফের তা সাদা করে দেওয়া হবে।
কিন্তু কাজ শেষে যখন তা ফের সাদা করা নিয়ে কথা শুরু হয় তখন গ্রামের সিংহভাগ মানুষই তাতে রাজি হননি। এমনকি গ্রামের রং পুরনো সাদা রংয়ে ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়া হবে, নাকি নীলই রেখে দেওয়া হবে তা স্থির করতে একটি ভোটাভুটির আয়োজন হয়।
আর সেই ভোটের ফল বলে দেয় গ্রামের মানুষ চাইছেন না রং বদলাক। তাঁরা চান নীলই থাকুক গ্রামটি। এরপর স্পেনের এই গ্রামটির নামই হয়ে যায় স্মার্ফ ভিলেজ। যা দেখতে এখন বহু মানুষ সারাবছর ভিড় জমান এখানে।
ফলে গ্রামের জনপ্রিয়তা যেমন অন্য মাত্রা ছুঁয়েছে পর্যটনের হাত ধরে তেমনই বদলে গেছে এখানকার অর্থনীতির মানচিত্র। স্পেনের একমাত্র নীল গ্রাম হিসাবে এখন পরিচিত এই গ্রাম।