World

এখানে আসবেন না, রোজগার উপেক্ষা করে পর্যটকদের কড়া বার্তা সুন্দর দ্বীপের বাসিন্দাদের

পর্যটকেরা এলে তাঁদের অর্থনৈতিক উপকারই হবে। তবু সেসব তোয়াক্কা না করেই পর্যটকদের বাড়িতে থাকার পরামর্শ দিলেন এই অপরূপ দ্বীপের বাসিন্দারা।

যেখানে সারাবছর পর্যটকদের আনাগোনা লেগে থাকে সেখানকার বাসিন্দাদের রোজগারের সম্ভাবনা উজ্জ্বল হয় এই পর্যটকদের হাত ধরেই। বেড়াতে এসে তাঁরা খরচে কার্পণ্য করেননা। যা স্থানীয় কর্মসংস্থান ও সার্বিক অর্থনীতির জন্য এক সদর্থক ভূমিকা পালন করে।

তাই যেখানে পর্যটকদের আনাগোনা বেশি সেখানকার বহু মানুষ এই পর্যটন শিল্পের সঙ্গে নিজেকে জড়িয়ে নেন যাতে তাঁদের আর্থিক স্বাচ্ছন্দ্য বজায় থাকে। কিন্তু সেই অর্থের হাতছানি ভুলে এখন স্পেনের ছবির মত সুন্দর দ্বীপ মালোর্কা-র বাসিন্দারা একেবারেই পর্যটকদের বরদাস্ত করতে পারছেন না।


পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্ত থেকে এখানে পর্যটকরা সারাবছরই ভিড় জমান। এখানকার সূর্যস্নাত সমুদ্রসৈকত, নীল সমুদ্র, সারি দেওয়া পাহাড়, ছবির মত সুন্দর সবুজে মোড়া চারধার যেমন পর্যটকদের টেনে আনে এই দ্বীপে, তেমনই এখানকার সুস্বাদু খাবারের সুখ্যাতি বাড়তি উৎসাহ যোগায় পর্যটকদের।

ফলে সারাবছর এই দ্বীপে পর্যটকদের ভিড় লেগে থাকে। এখানকার হোটেলগুলি তো ভরা থাকেই, এমনকি এখানকার বহু বাড়িতেও মোটা টাকা খরচ করে পর্যটকরা কিছুদিন কাটিয়ে যান। যার প্রতিটিই কিন্তু স্থানীয়দের জন্য অর্থপ্রাপ্তির রাস্তা খুলে দেয়।


কিন্তু তারপরেও প্রায় ১ বছর ধরে এখানকার বাসিন্দারা পর্যটক আগমনের বিরুদ্ধে সোচ্চার। এমনকি গতবছর তাঁরা পথেও নেমেছিলেন। একটি সংগঠনও তৈরি হয়েছে পর্যটক আগমনের বিরুদ্ধে স্থানীয় বাসিন্দাদের মিলিত শক্তি হিসাবে।

হালেই সংগঠনের পক্ষ থেকে একটি চিঠি প্রকাশ করা হয়েছে, যেখানে ফের পর্যটকদের তাঁদের দ্বীপ থেকে দূরে থাকার বার্তা দেওয়া হয়েছে। তাঁদের দ্বীপে এসে ভিড় না বাড়িয়ে পর্যটকদের বাড়িতেই থাকার কড়া পরামর্শও দিয়েছেন মালোর্কা-র বাসিন্দারা।

কিন্তু পর্যটকরা এলেই তো তাঁদের ভাল! তাহলে কেন এমন বার্তা? স্থানীয়রা মনে করছেন পর্যটকদের উপচে পড়া ভিড় এই ছবির মত সুন্দর দ্বীপের বাস্তুতন্ত্রকে শেষ করে দিচ্ছে।

তাছাড়া তাঁদের জীবনযাত্রার মান পড়ছে, যানবাহনের সমস্যা বাড়ছে, এমনকি স্থানীয়দেরই থাকার জন্য বাড়ি পেতে হিমসিম খেতে হচ্ছে। দ্বীপের সার্বিক পরিকাঠামোও পর্যটকদের ধাক্কায় ভেঙে পড়ছে বলে অভিযোগ তাঁদের। তাই তাঁরা চান তাঁদের ওই দ্বীপে যেন পর্যটকরা না আসেন।

Show Full Article

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button