ভূমধ্যসাগরে স্পেনের সুন্দর দ্বীপ ইবিজা। দ্বীপের বাসিন্দা অধিকাংশ মানুষ পেশায় মৎস্যজীবী। সমুদ্রে মাছ ধরে তাঁদের দিন গুজরান হয়। মাছ ধরতে যাওয়ার আগে রোদে জাল শুকোতে দেওয়া তাঁদের রোজকার কাজ। সেই জালের ওপর এক যুগলের চরম নির্লজ্জ কর্মকাণ্ডের সাক্ষী থাকলেন দ্বীপের এক মৎস্যজীবী। প্রতিদিনের মত মাছের বাজারের সামনে মাছ ধরার জাল শুকোতে দিয়েছিলেন তিনি। বেলার দিকে সেই জাল নিতে গিয়ে বিষম খাওয়ার জোগাড় হয় তাঁর। দেখেন, জালে ধরা পড়েছে পেল্লায় ২টি মাছ! থুড়ি, মানুষ! জালের ভিতর নয়, শুকনো সমুদ্রতটে তাঁর সবুজ জালের ওপরে। যুগলকে সেই জাল থেকে সরতে বলারও উপায় নেই। কারণ, তাঁর জালের ওপর অর্ধ বিবস্ত্র অবস্থায় যৌন সঙ্গমে মেতে উঠেছেন বয়স্ক যুগল।
জাল যে আর তোলা যাবে না সেই মুহুর্তে, সে কথা ভালোই বুঝতে পেরেছিলেন জালের মালিক। অতএব সময় নষ্ট না করে স্থানীয়দের ঘটনাস্থলে ডেকে আনেন তিনি। এমন ‘বিরলতম’ দৃশ্যের সাক্ষী হতে জালের কয়েক হাত দূরেই ভিড় জমে যায়। কৌতূহলী জনতার মধ্যে দু’একজন ফোনে চটপট রেকর্ড করে নেন যুগলের শরীরী মত্ততার সেই দৃশ্য! সঙ্গমে বিভোর যুগলকে সেখান থেকে সরতে বলা হলেও কারও কথায় কান দেওয়ার মত অত সময় ছিল না তাঁদের। বরং মগ্ন হয়ে নিজেদের কাজটি সম্পূর্ণ করেন তাঁরা। তারপর জাল থেকে উঠে বাড়ির দিকে রওনা দেন। যেন কিছুই হয়নি। তাঁরা সেখান থেকে চলে যাওয়ার পর নিজের মাছ ধরার জালটি হাতে পান মৎস্যজীবী।
পরে সোশ্যাল মিডিয়ায় দিনের আলোয় সর্বসমক্ষে যুগলের আজব যৌন সঙ্গমের ভিডিও আপলোড হতেই তা ভাইরাল হয়ে যায়। ভিডিওটি চোখে পড়তে হতবাক হয়ে যায় স্থানীয় প্রশাসন। ভিডিওটিতে যুগলের পোশাক ও হাবভাব ভালো করে খুঁটিয়ে দেখার পর একটা ব্যাপারে নিশ্চিত হয় ইবিজা পুলিশ। সম্ভবত কোনও পার্টিতে মাত্রাতিরিক্ত ড্রাগ সেবনের পর ফেরার পথে উত্তেজিত হয়ে পড়েন ওই যুগল। যার ফলেই স্থান-কাল-পাত্র ভুলে একেবারে লাইভ কামকলায় মেতে উঠতে তাঁদের এতটুকু দ্বিধাবোধ হয়নি।