লটারি জিতেছেন ভেবে লাইভ করতে করতে চাকরি ছাড়লেন টিভি রিপোর্টার
রিপোর্টার শোনেন তাঁর কেনা লটারির টিকিটের নম্বর। তিনি শোনা মাত্র আনন্দে লাফাতে থাকেন। স্টুডিওতে থাকা ২ অ্যাংকর তাঁর কাণ্ড দেখে হাসতে থাকেন।
লটারির ফলাফল বার হচ্ছে। সেই কভারেজই করতে গিয়েছিলেন তিনি। হতে পারে তিনি সেখানে একজন টিভি রিপোর্টার হিসাবে হাজির ছিলেন। লাইভ করছিলেন। কিন্তু সেইসঙ্গে তিনিও একজন ছিলেন যিনি ওই লটারি কেটেছিলেন ভাগ্য যাচাই করতে।
এদিকে লটারি প্রাপকদের নম্বর ঘোষণা হতে থাকে। এই সময় ওই তরুণী রিপোর্টার শোনেন তাঁর কেনা লটারির টিকিটের নম্বর। তিনি তা শোনা মাত্রই আনন্দে লাফাতে থাকেন। স্টুডিওতে থাকা ২ অ্যাংকর তাঁর কাণ্ড দেখে হাসতে থাকেন।
লটারি জিতেছেন এই আনন্দে রিপোর্টার নাতালিয়া এসকুদেরো হয়তো ভুলেই গিয়েছিলেন যে তিনি লাইভে রয়েছেন। তাঁকে সকলে টিভির পর্দায় দেখছেন।
স্পেনের একটি নিউজ চ্যানেলের রিপোর্টার নাতালিয়া ধরেই নেন যে তিনি ক্রিসমাস লটারির পুরস্কার জিতে গেছেন। যা একটা বিশাল অঙ্ক। ওই টাকা হাতে পেলে কারও আর কাজ করার দরকার নেই। তাই নাতালিয়া নিজের খুশি নিয়ন্ত্রণ করতে পারছিলেননা।
মাদ্রিদে কিছু লটারি জেতা মানুষের প্রতিক্রিয়া বা ভক্সপপ করতে করতে মাঝে মধ্যেই নিজের মধ্যে থাকছিলেন না তিনি। একবার আনন্দে একজনকে চুম্বন করে বসেন ওই তরুণী।
লটারি জিতেছেন ভেবে লাইভ অবস্থাতেই তিনি জানিয়ে দেন যে তিনি আর পরের দিন থেকে কাজে আসবেন না। কারণ তিনি লটারি জিতে গেছেন। কিন্তু আদপে ঘটনাটা ঘটে অন্য।
তিনি লটারি জেতেন ঠিকই। তবে তা লটারির প্রথম পুরস্কার নয়। তলার দিকের একটি অঙ্ক। ৫ হাজার ইউরো। যে অঙ্ক চাকরি ছেড়ে দেওয়ার মত নয়। তা বড়সড় লটারি জয়ের মধ্যেও পড়েনা।
সব লটারিতেই স্বল্প অঙ্কের টাকাও অনেকে জেতেন। নাতালিয়া সেই দলেই পড়ছিলেন। পরে যখন তিনি পরিস্কার ভাবে বোঝেন যে তিনি মূল অঙ্কটি মোটেই জেতেননি, তখন তাঁর মুখ লজ্জায় লাল। পরে তাঁর লাইভে অমন আচরণের জন্য ক্ষমাও চেয়ে নেন নাতালিয়া। ততক্ষণে অবশ্য তাঁকে নিয়ে হাসাহাসি থামছে না গোটা দেশে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা