স্বাধীনতা দিবসের সকাল মানেই তিরঙ্গা। লালকেল্লা থেকে স্কুল, কলেজ অথবা পাড়ার ক্লাব, সর্বত্রই সকাল থেকে সাজো সাজো রব। পতাকা উত্তোলন। দেশাত্মবোধক গান। মিষ্টিমুখ। বীর শহিদদের সম্মান জানানো। তারপর নিছক একটা নিটোল ছুটির আনন্দ উপভোগ করা। কিন্তু এসবের মাঝে অনেকেই হয়তো ভুলে যাই এই মহান দিনটিতেই ১৮৭২ সালে জন্ম নিয়েছিলেন এক ক্ষণজন্মা মানুষ অরবিন্দ ঘোষ। যিনি পরবর্তী জীবনে ঋষি অরবিন্দ নামে খ্যাত হন।
মহান এই বঙ্গসন্তান প্রথম জীবনে ইংল্যান্ডের কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাইপস। আইসিএস পরীক্ষায় গ্রিক ও ল্যাটিন ভাষায় রেকর্ড নম্বরের অধিকারী। ফরাসী ও জার্মান ভাষাতেও সমদক্ষ। ভারতে ফিরে যোগ দেন স্বাধীনতা সংগ্রামে। মানিকতলা বোমা মামলায় গ্রেফতার হন তিনি। তাঁর বিভিন্ন ব্রিটিশ শাসন বিরোধী লেখাও ছিল ইংরেজদের আতঙ্কের কারণ।
কিন্তু জেলে থাকাকালীন অরবিন্দ ঘোষের মধ্যে পরিবর্তন দেখা যায়। চরমপন্থি স্বাধীনতা সংগ্রামী থেকে ক্রমশ আধ্যাত্মিক চিন্তায় মগ্ন হয়ে পড়েন তিনি। তারপর পণ্ডিচেরি অধুনা পুদুচেরিতে গড়ে তোলেন আশ্রম। রাজনীতি ছেড়ে আত্মাধ্যচিন্তায় ব্রতী হন তিনি। হয়ে ওঠেন বিশ্ববরেণ্য দার্শনিক। যোগ সাধনায় তাঁর পাণ্ডিত্য ও বুৎপত্তির খ্যাতি ছিল দেশ জোড়া। যে স্বাধীনতার জন্য সব ছেড়ে একসময়ে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন তিনি, সেই ভারতকে সত্যিই স্বাধীন হতে দেখে যান ঋষি অরবিন্দ। ১৯৫০ সালে তিনি দেহত্যাগ করেন। এদিন তাঁর ১৪৬ তম জন্মবার্ষিকী।