শ্রীলঙ্কাকে এভাবে রক্তাক্ত করা কাদের কাজ তা সাংবাদিক বৈঠক ডেকে জানিয়ে দিল শ্রীলঙ্কা সরকার। সরকারের বেশ কয়েকজন মন্ত্রী সোমবার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন। তাঁদের দাবি, রবিবার ধারাবাহিক বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে স্থানীয় একটি সংগঠন দ্যা ন্যাশনাল থোহিদ জামাত বা এনটিজে। যাদের এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত সন্দেহে গ্রেফতার করা হয়েছে তারাও সকলেই স্থানীয় বাসিন্দা। এই সংগঠন বিস্ফোরণ ঘটালেও তাদের সঙ্গে বিদেশের কোনও সন্ত্রাসবাদী সংগঠনের যোগ রয়েছে কিনা তা এখনও পরিস্কার নয়।
বিস্ফোরণের ঘটনার জন্য দুঃখও প্রকাশ করেন মন্ত্রীরা। তাঁরা এদিন মেনে নেন এটা একটা বিশাল গোয়েন্দা ব্যর্থতা। আগে থেকে খবর থাকা সত্ত্বেও এই আক্রমণ ঠেকানো গেলনা। এটি একটি সুপরিকল্পিত বিস্ফোরণ বলেও জানান তাঁরা। এদিন মন্ত্রীরা যা বললেন তা থেকে পরিস্কার যে শ্রীলঙ্কা সরকার মেনে নিচ্ছে এই ধারাবাহিক বিস্ফোরণ আসলে প্রশাসনিক ব্যর্থতার ফল।
মন্ত্রীরা এদিন একথাও স্বীকার করেন যে গত ৪ এপ্রিলই আন্তর্জাতিক একটি গোয়েন্দা সংস্থা শ্রীলঙ্কা সরকারের কাছে খবর পাঠায় যে এমন একটি বিস্ফোরণের পরিকল্পনা করা হচ্ছে। বিস্ফোরণ হবে চার্চ ও পর্যটন কেন্দ্রে। এই খবর থাকা সত্ত্বেও তা গুরুত্বের সঙ্গে না দেখায় এই ঘটনার মুখে পড়তে হল বলেও মেনে নিল শ্রীলঙ্কা সরকার।
এদিন মন্ত্রীরা এও মেনে নেন যে কারা কারা আক্রমণ করতে পারে তার নামের তালিকা পর্যন্ত দেশের ইন্সপেক্টর জেনারেলের কাছে পৌঁছেছিল। তারপরেও এই ঘটনার জন্য মৃতদের পরিবার ও সংগঠনগুলির কাছে ক্ষমা চেয়ে নেন তাঁরা। তবে এতটা খোলাখুলি মন্ত্রীরা সামনে আসার বোধহয় অন্য একটি কারণও রয়েছে। শ্রীলঙ্কার রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর মধ্যে একটা লড়াই শুরু হয়েছে। ২ পক্ষই আসলে এই ঘটনায় অন্যপক্ষের ব্যর্থতাকে তুলে ধরার চেষ্টায় রত। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা