শ্রীলঙ্কায় গত রবিবার ইস্টার সানডে পালনের সময় ৩টি চার্চ ও ৩টি হোটেলে বিস্ফোরণ হয়। দুপুরে ফের একটি বিস্ফোরণ হয়। শ্রীলঙ্কার সেই ধারাবাহিক বিস্ফোরণে রবিবার সারাদিনই লাফিয়ে লাফিয়ে বেড়েছে মৃতের সংখ্যা। বিভিন্ন হাসপাতাল ভরে গিয়েছিল আহত রক্তাক্ত মানুষে। বিস্ফোরণে ব্যবহার হয় মানববোমা। অন্তত তেমনই জানায় শ্রীলঙ্কা পুলিশ।
ধারাবাহিক বিস্ফোরণের জেরে মৃতের সংখ্যা সোমবার আরও বাড়ে। দুপুর পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা দাঁড়ায় ২৯০ জন। মঙ্গলবার সেই সংখ্যাও ছাপিয়ে গেল। শ্রীলঙ্কার ধারাবাহিক বিস্ফোরণে মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩১০-এ। এখনও বিভিন্ন হাসপাতালে ৫০০-র ওপর মানুষ চিকিৎসাধীন।
গত রবিবার বিস্ফোরণের পর এমন সন্ত্রাসের তীব্র নিন্দা করেন ভারতের রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। বিদেশমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ গোটা পরিস্থিতির ওপর নজর রাখছিলেন। তিনিই পরে জানান, শ্রীলঙ্কার ধারাবাহিক বিস্ফোরণে মৃত্যু হয়েছে ৩ ভারতীয়েরও। গত সোমবার কলম্বোর ভারতীয় দূতাবাস আরও ২ জন ভারতীয়ের মৃত্যু হয়েছে বলে নিশ্চিত করে। ফলে সোমবার বিস্ফোরণে ভারতীয়দের মৃতের সংখ্যা ৫-এ দাঁড়ায়। মঙ্গলবার তা বেড়ে দাঁড়াল ১০-এ। সেকথা নিশ্চিত করেছে ভারতীয় দূতাবাস।
১০ বছর আগে শ্রীলঙ্কায় শেষ হয়েছে গৃহযুদ্ধ। স্তব্ধ হয়েছে এলটিটিই। তারপর থেকে শ্রীলঙ্কা ভাল ছিল। ধীরে ধীরে হলেও অর্থনৈতিক দিক থেকে নিজেদের শক্তিশালী করে তুলছিল এই দ্বীপরাষ্ট্র। তবে ক্রমশ রাজনৈতিক অচলাবস্থাও ইদানিংকালে মাথা চাড়া দিচ্ছিল। তবে সন্ত্রাসবাদ থেকে মুক্ত ছিল এই দেশ। এবার সেই শ্রীলঙ্কাও সন্ত্রাসবাদের শিকার হল। আগাম খবর থাকা সত্ত্বেও এই বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটায় সকলের কাছে ক্ষমা চেয়ে নিয়েছে শ্রীলঙ্কা সরকার। ঘটনায় যুক্তদের ধরপাকড়ও শুরু হয়েছে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা